খাস রবি ঠাকুরের মাটিতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এমনিতেই এখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সমস্যা লেগে রয়েছে। তার মধ্যেই বীরভূমে আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায়। গণধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। তবে নির্যাতিতা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এখন নিজের বাড়িতেই চিকিৎসধীন বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে শান্তিনিকেতনে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই গণধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়েছে বোলপুরের এক প্রতিষ্ঠিত রিসর্টের। ওই আদিবাসী যুবতীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসা হয় নির্জন জায়গায়। তারপর তিনজন মিলে লাগাতার ধর্ষণ করে ওই যুবতীকে। দিদির বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ছিলেন ওই যুবতী। পথে ওই তিন ব্যক্তি–সহ গাড়ি তাঁর পথ আটকায়। আর কোনও কিছু বোঝার আগেই তাঁর মুখ চেপে ধরে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। তারপর তাঁকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
কেমন করে ঘটনাটি ঘটল? বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার উত্তর শিয়ালা গ্রামে বাড়ি ওই নির্যাতিতা আদিবাসী যুবতীর। বোলপুরের বাঁশের কেল্লা নামে একটি হোটেলে কাজ করেন ওই যুবতী। অভিযোগ, প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তা থেকে আদিবাসী যুবতীকে তুলে নেওয়া হয় গাড়িতে। তারপর ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। কয়েকদিন আগে দুপুরে ওই আদিবাসী যুবতী দিদির বাড়ি যাচ্ছিলেন। তখন শান্তিনিকেতন থানার সাহেব ডাঙা এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে তিনজন তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তারপর একটি ফাঁকা মাঠে তিনজন মিলে ওই আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
কী করে প্রকাশ্যে এল ঘটনাটি? এই নির্যাতনের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই আদিবাসী যুবতী। তখন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আর প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি। চিকিৎসক এই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে দেয়। অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নামে পুলিশ। আর দু’জনকে গ্রেফতার করে। গণধর্ষণের অভিযোগে গোপাল নামে এক যুবক ও তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বোলপুরের তালতোড় এলাকার পঞ্চাবন আর্ট রিসর্টে কর্মরত গোপাল নামে ওই অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই এই ঘটনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ওই হোটেল মালিককে জিজ্ঞেসবাদ শুরু করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।