বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > চলন্ত শিফং এক্সপ্রেসে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার থেকে গ্রেফতার দুই

চলন্ত শিফং এক্সপ্রেসে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার থেকে গ্রেফতার দুই

চলন্ত ট্রেনে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

আর শিফং এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় থাকলেও ট্রেনের কামরা ফাঁকা হয়ে যায়। ওই কামড়ায় ছিল দুই যুবক। ফাঁকা কামড়া এবং রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা মুখ চেপে ধরে। আর তারপর তারা ধর্ষণ করে। এই কাজ করে তারা চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নেমে ওই যুবতী জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন।

আবার চলন্ত ট্রেনে যুবতীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। আর এই ঘটনায় ফের রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। খোদ এক্সপ্রেস ট্রেন এমন ঘটনা ঘটায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ওই যুবতীকে কামড়ায় ফাঁকা পেয়ে দু’‌জন যুবক লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই নির্যাতিতা যুবতী পরে স্টেশনে নেমে জিআরপি’‌র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ফাঁকা কামড়ায় কেন একজন নারী নিরাপদ নয়?‌ সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ জিআরপি’‌র কাছে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ওই নির্যাতিতা যুবতীর বাড়ি অসমের কোকরাঝাড়ে। গুয়াহাটি থেকে তিনি শিফং এক্সপ্রেসে ওঠেন। ওই ট্রেনে করে আলিপুরদুয়ার আসছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি যে কামড়ায় ছিলেন সেটি ফাঁকা হয়ে পড়ে যাত্রীরা নেমে যাওয়ায়। তখন ওই দুই যুবক তাঁর মুখ চেপে ধরে এবং একের পর এক ধর্ষণ করতে থাকে। ট্রেন চলন্ত অবস্থায় থাকায় কোনওভাবেই এই অত্যাচার আটকানো যায়নি। ট্রেনেই গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। তারপর স্টেশনে নেমে পালাতে যায় তারা। কিন্তু অভিযোগ থাকায় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় ওই দুই যুবককে। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ল রেলের যাত্রী নিরাপত্তা। এই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তখন মাঝরাত। অসমের শেষ স্টেশন শ্রীরামপুর থেকে শিফং এক্সপ্রেসে করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলায় ঢুকে পড়ার পর ট্রেনটি ফাঁকা হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলিতে যাত্রীরা নেমে পড়ার পর। আর শিফং এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় থাকলেও ট্রেনের কামরা ফাঁকা হয়ে যায়। ওই কামড়ায় ছিল দুই যুবক। ফাঁকা কামড়া এবং রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা মুখ চেপে ধরে। আর তারপর তারা ধর্ষণ করে। এই কাজ করে তারা চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নেমে ওই যুবতী জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আপনি এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন’‌, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে মমতার সাহায্য চাইলেন অধীর

কেমন করে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা?‌ জিআরপি সূত্রে খবর, ওই নির্যাতিতা যে অভিযোগ করেছিলেন তার ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করা হয়। যখন তল্লাশি চলছে তখন অভিযুক্ত দুই যুবক ট্রেন থেকে নেমে কোচবিহারের পথে পালাচ্ছিল। কিন্তু ততক্ষণে জিআরপি তাদের চিনতে পারে। আর মাঝ রাস্তাতেই তাদের পাকড়াও করে ফেলে। ওই দু’‌জনের মধ্যে একজনের নাম নয়নাল আবদুল। আর একজনের নাম মইনুল হক। এই দু’‌জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আগে দুর্গাপুরেও চলন্ত ট্রেনে মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল রেল পুলিশ। ওই যুবক সীমান্ত সুরক্ষা বলের ৬৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান।

বন্ধ করুন