বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য দ্রুত গতিতে চলছে কাজ। বিশেষ করে হুগলি জেলায় গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। হুগলির রাজারামবাটি পর্যন্ত চলে এসেছে গেইলের পাইপ লাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস। যেভাবে কাজে এগোচ্ছে সেই গতি বজায় থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় পাইপ লাইনে মাধ্যমে বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশেষ করে শ্রীরামপুর, চন্দননগর, কোদালিয়া, উত্তরপাড়া, বাঁশবেড়িয়া প্রভৃতি জায়গায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় রান্নার গ্যাসের পাইপ কারখানা হচ্ছে, ১০০ কোটি বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান
প্রসঙ্গত, হুগলি জেলায় এই গ্যাস সরবরাহের কাজ করছে গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন ও গেইলের যৌথ সংস্থা। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই কোদালিয়ার ৫০টি মতো বাড়িতে জিআই পাইপ বসানো সম্পন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, কয়েকটি বাড়িতে মিটার লাগানোও হয়েছে। সেই মিটারের মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবহার বোঝা সম্ভব হবে। জানা গিয়েছে, গ্যাস বাড়িতে বাড়িতে সরবরাহের আগে প্রেসার কমানোর জন্য সেখানে একটি প্লান্ট বসানো হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই কোদালিয়া পঞ্চায়েতের তরফে জমি দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে গ্যাসের জন্য বসানো হচ্ছে পলিথিনের পাইপ।
জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বসেছে চন্দননগরে। সেখানে ৪৩ কিলোমিটার পলিথিনের পাইপ বসেছে। বাঁশবেরিয়ায় ২৩ কিলোমিটার, শ্রীরামপুরে ৩ কিলোমিটার পলিথিনের পাইপ বসেছে। এছাড়া, উত্তরপাড়ায়ও বসেছে পাইপ। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে সেখানে ৮৬ কিলোমিটার পলিথিনের পায়ে বসানো হয়েছে বলে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, রাজারামবাটি থেকে গেইলের পাইপ লাইন টেনে আনা হয়েছে দিল্লি রোডের কাছে। সেখান থেকে প্রথমে চুঁচুড়া পর্যন্ত ৬-৭ কিলোমিটার স্টিলের ব্রাঞ্চ পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস আনা হবে। পরে সেই গ্যাস পাঠানো হবে পলিথিন পাইপলাইন নেটওয়ার্কে। যা পৌঁছে যাবে গৃহস্থের রান্নাঘরে। এদিকে, যেহেতু তিন মাসের মধ্যে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে সে ক্ষেত্রে কীভাবে বিল দিতে হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। এ বিষয়ে এক আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যেই ৩০০ এর মতো গ্রাহককে প্রতি দুমাস অন্তর পোস্টপেড বিল তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে। সেরকম ব্যবস্থাতেই হুগলিতেও বিল পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, দিল্লি মুম্বাইয়ে বহু বছর ধরে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সেখানে পোস্ট পেড এবং প্রিপেড-এর মাধ্যমে বিলের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি এখনই প্রিপেড বিল চালু করার পক্ষে নয়।