ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্ঘটনায় আশঙ্কায় পদাতিক এক্সপ্রেসকে দাঁড় করালেন গেটম্যান। মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে দাঁড় করানো হয় আলিপুরদুয়ার জংশনগামী পদাতিক এক্সপ্রেসকে। ট্রেনটির S1 কামরার নীচ থেকে বেরোচ্ছিল ধোঁয়া। ত্রুটি মেরামত করে ৩০ মিনিট পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্রেনটি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেস ঢোকার আগে গেটম্যান তিলক দাস দেখতে পান ট্রেনটির S1 কামরার একটি চাকা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে গার্ডকে লাল পতাকা দেখান তিনি। সচেতন হয়ে যান গার্ড। এর পর জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানান তিনি। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে দাঁড় করানো হয় ট্রেনটিকে। দেখা যায় ট্রেনের চাকায় ব্রেক শ্যু আটকে গিয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় ত্রুটি মেরামত হয়। ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনটি। এই তৎপরতার জন্য তিলক দাস ও তাঁর সহযোগী কৌশিক দাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বলে রাখি, গত ১৩ জানুয়ারি এই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন পেরনোর পরই ময়নাগুড়ির দোমোহনির কাছে দুর্ঘটগ্রস্ত হয়েছিল বিকানের – গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসে একটি অডিয়ো টেপ। যাতে জানা যায়, ট্রেনটির ইঞ্জিনে যে ত্রুটি রয়েছে তা নিয়ে আগেই কথোপকথন হয়েছিল ট্রেনের চালক ও স্টেশন মাস্টারের মধ্যে। কিন্তু বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি কেউ। তার পরই খুলে যায় চলন্ত ইঞ্জিনের ট্র্যাকশন মোটর। লাইনচ্যূত হয় ৭টি কামরা।