পঞ্চাশ দিনের কাজ করলেই মিলবে ১০০ দিনের সমান টাকা। এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস ও সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী এপ্রিল-মে থেকেই সেই ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করা হবে। যাঁরা জবকার্ড হোল্ডার, তাঁরা সেই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, তাই আমরা একটা নতুন কাজ করছি। ১০০ দিনের কাজ নামটা থাকলও ৩০-৩৫ দিনের বেশি কোনও বছর কাজ হত না। আর বাংলাই এক নম্বরে ছিল।’
মমতা আরও বলেন, ‘তাই মনে রাখবেন, যাঁরা গরিব মানুষ, তাঁরা ১০০ দিনের কাজের জন্য যে টাকা পেতেন, সেই টাকাই পাবেন (অর্থাৎ ১০০ দিনের সমান কাজের মজুরি মিলবে ৫০ দিন কাজ করেই)। কিন্তু প্রকল্পের নাম হবে শুধু কর্মশ্রী। ওই প্রকল্পের জন্য ৫০ দিনের জন্য কাজ করতে হবে। যাঁরা জবকার্ড হোল্ডার, তাঁরাই কাজটা পাবেন। এই কাজটা আমরাই আপনাদের করে দেব। এপ্রিল-মে থেকে এই কাজটা শুরু হবে। ইতিমধ্যে আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে নতুন করে কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করেননি মমতা। এবারের বাজেটেই সেই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসময় অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, কেন্দ্রীয় সরকার যেহেতু টাকা দিচ্ছে না, তাই ১০০ দিনের ধাঁচে নিজস্ব প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'কর্মশ্রী'। মজুরির বিষয়ে তখন খোলসা করে কিছু জানাননি অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। আজ সেটা ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০২৪-২৪ অর্থবর্ষে ৭৫ লাখ জবহোল্ডারকে সেই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সেইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই মমতা জানিয়ে দেন যে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যেমন ‘একলা চলো’-র পথে হেঁটেছে, আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও তাই হবে। আগামী মে'র মধ্যে যদি কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে টাকা না পাওয়া যায়, তাহলে নিজের কোষাগার থেকেই আবাস যোজনার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। ঠিক যেমনটা করা হয়েছিল ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে। প্রাপ্য টাকা না দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজেই ২৪ লাখ শ্রমিকের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা।