মুখ্যমন্ত্রী শুধরে যান, নইলে আমরা শুধরে দেব। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের আহ্বায়ক বিপ্লব দেব। মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা ANIকে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন - রাত ৩টে ২০-তে শিয়ালদার ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস
পড়তে থাকুন - 'মানুষকে ট্রেন ছেড়ে সাইকেল নিতে হয়…'কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা, তোপ মমতার
মঙ্গলবার বিপ্লববাবু বলেন, ‘আমি আর কী দেখব? আপনারাই সব দেখতে পাচ্ছেন। আপনাদের ক্যামেরা সব দেখতে পাচ্ছে। আপনাদের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটুকুই বলতে চাই, শুধরে যান, নইলে শুধরে দেব। আপনি যে ভাবে রাজত্ব চালানোর চেষ্টা করছেন এভাবে চলে না। আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার শাসনের পরিবর্তন হবে না তাহলে ভুল করছেন। আপনি যদি বাম শাসনের সময় এরকম ভাবতেন তাহলে আপনি আজ মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটানোয় আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু তার পর আপনি কী করেছেন? বামেরা যেটুকু করতে বাকি রেখেছিল সেটুকু আপনি পূরণ করে দিয়েছেন।’
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে রয়েছেন বিপ্লব দেব, রবিশংকর প্রসাদ, ব্রজলাল ও কবিতা পতিদার। রাজ্য থেকে প্রতিনিধিদলে যোগদান করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল, ফাল্গুনি পাত্ররা। এদিন বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে বিজেপির প্রতিনিধিদল। আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন তাঁরা। বিভিন্ন পার্টি অফিসে ত্রাণ শিবিরে আক্রান্তদের আশ্বস্ত করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - 'মৃত্যুর মুখে! ছিটকে পড়লাম, ট্রেনে চাপতে ভয় লাগছে,' HT Bangla-তে জানালেন কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী
ওদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মঙ্গলবার আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে জানানো হয়েছে ১২ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে কোনও ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি। ১১৪টি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ১৮টি অভিযোগের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ১৩৮টি অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের ওপর নজরদারি করছেন সিআইডির অতিরিক্ত অধিকর্তা বিশাল গর্গ। ৩ দিন পর পর অভিযোগগুলির তদন্ত কতদূর এগোল তা নিয়ে রিপোর্ট দিচ্ছেন তিনি।