ছোট্ট ছোট্ট হাতে স্কেচ পেন দিয়ে খাবারের প্যাকেটের উপর লিখছে সুহাসিনী, ‘Get well soon,’ ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো’। সেই খাবারের প্যাকেটই পৌঁছে যাচ্ছে অসুস্থ রোগীর পরিবারের কাছে। সংকটের দিনে রেড ভলান্টিয়ার্সদের এই উদ্যোগে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে ছোট্ট সুহাসিনী মজুমদারের এই শুভ বার্তা। আসলে বর্ধমানের বাসিন্দা বছর পাঁচেকের সুহাসিনী মজুমদারের একটি ডাক নামও রয়েছে। গোলু। সেই গোলুই এখন মামার বাড়িতে, বীরভূমে। তার দাদু সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। তারা বাবা মা ও করোনায় আক্রান্ত। সেকারণে আপাতত গোলু এসেছে মামারবাড়িতে। এদিকে মামা ঋষভ মুখোপাধ্যায় রেড ভলান্টিয়ার্স। করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই রান্নাবান্না চলে গোলুর মামারবাড়িতে।
মামার কাছ থেকে গোলুও জেনেছে পুরো ব্যাপারটা। কিন্তু বয়সে যে বড্ড ছোট সুহাসিনী। এই ছোট্ট বয়সে রান্না করাও সম্ভব নয়। তবুও দিদাকে সহায়তা করছে সে। রোগীর বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব নয়। তবুও মামার গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে খাবারের প্যাকেট। প্যাকিংয়েও সহায়তা করছে ছোট্ট সুহাসিনী। বলা যায় একেবারে পুরোদস্তুর খুদে রেড ভলান্টিয়ার্স। আর এর সঙ্গেই অসুস্থ কাকু, জেঠুদের জন্য শুভকামনা পাঠাতে একেবারেই ভুল করে না গোলু। সেকারণেই খাবারের প্যাকেটে গোলু লিখছে গেট ওয়েল সুন। আসলে বাবা মাকে ছেড়ে, দাদুকে চিরতরে হারিয়ে করোনাকালে মানুষের পাশে থাকার এই উদ্যোগে শামিল ছোট্ট সুহাসিনীও। আর সুহাসিনীর ওই কাঁপা কাঁপা হাতে লেখাগুলো বাড়তি উদ্যম যোগাচ্ছে দিন রাত এক করে খাটতে থাকা রেড ভলান্টিয়ার্সদের।