চোর আপবাদ দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের দায়ে ১ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। একই সাজা হয়েছে খুনির সহযোগীরও। শুক্রবার এই রায়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা আদালতে শোরগোল পড়ে। তবে খুশি নিহত বধূর পরিবারের সদস্যরা।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, দাসপুর থানা এলাকার পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা দীপু পাড়িয়া ও তাঁর স্ত্রী সোনালি। দম্পতির এক কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে স্ত্রী সোনালিকে খুন করেন দীপু। স্বামীর মারধরে জ্ঞান হারান মহিলা। এর পর তাঁর দেহ পাশের বাগানে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। গোটা ঘটনায় তাকে সাহায্য করে যোগেন হেমব্রম নামে এক ব্যক্তি। বাবার হাতে আক্রান্ত হয় মেয়ে বৈশাখি পাড়িয়াও।
ঘটনার তদন্তে নেমে দীপু পাড়িয়া ও যোগেন হেমব্রমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কী ভাবে বাবা মাকে খুনে করেছে তা আদালতকে জানায় বৈশাখি। দীর্ঘ ৭ বছর শুনানির পর গত ৯ মার্চ দীপু ও যোগেনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শুক্রবার বিচারক সঞ্জয়কুমার শর্মা তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। রায়ে খুশি সোনালিদেবীর পরিবার।