সদ্য লোকসভা নির্বাচন মিটেছে। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জিতেছেন দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব। যিনি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করার জন্য প্রচণ্ড চেষ্টা করেছেন। সেই ঘাটাল ব্লকের কুরান গ্রামে এখন পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামের সজলধারা প্রকল্প বন্ধ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ থাকলেও জল পড়ছে না। এমনকী এই গ্রামের বাসিন্দারা গত একমাস ধরে পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন বলে অভিযোগ। সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান কৌশিক জানা পানীয় জলের সঙ্কটের কথা স্বীকার করেছেন।
এখন শীতকাল হলেও পানীয় জল তো লাগেই। সেখানে সঙ্কট দেখা দিলে বিপাকে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। এই বিষয়ে সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান কৌশিক জানা বলেন, ‘কুরানে সজলধারার বিদ্যুৎ বিল বাকি আছে। বকেয়ার পরিমাণ প্রায় তিন লক্ষ টাকা। বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে আমি সজলধারার পরিষেবা চালু করেছিলাম। কিন্তু মোটর পুড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। গ্রামপঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত সজলধারার জল চালু করার চেষ্টা চলছে।’ কয়েক সপ্তাহ হল ওই গ্রামে বন্ধ আছে সজলধারার জলের পরিষেবা বলে খবর।
আরও পড়ুন: ‘এই প্রস্তাবকে আমরা সর্বান্তকরণে সমর্থন করছি’, তৃণমূল সরকারের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু
সজলধারার জল পাওয়ার পর থেকে তা অভ্যাসে পরিণত হয় গ্রামবাসীদের। এই নলবাহিত জল রান্না এবং পান করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। সেটা গ্রামের টিউবওয়েল টিপে জল নিয়ে এলেও চাহিদা মেকআপ দেওয়া সম্ভব নয়। এই নলবাহিত পানীয় জল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের প্রায় ৪০টি পরিবার চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। গ্রামে একটা টিউবওয়েল আছে ঠিকই, কিন্তু শুধু সেটার উপর ভরসা করে এতগুলি পরিবার চলা কঠিন। জল সংগ্রহ ওই টিউবওয়েল থেকেই করতে হচ্ছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা মলয় ঘোষ, মিতা ঘোষদের অভিযোগ, ‘নলবাহিত পানীয় জল বন্ধ আছে। তাই বাধ্য হয়ে খারাপ জলই পান করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।’
জল থেকে পেটের নানা অসুখ হয়। যদি সেই জল শুদ্ধ না হয়। এখন কুরান গ্রামের যা পরিস্থিতি তাতে যে জলই পাওয়া যাচ্ছে তা পান করছেন গ্রামবাসীরা। এটা অত্যন্ত ঝুঁকির। একমাত্র টিউবওয়েলের উপর ভরসা করছেন গ্রামের এতজন মানুষজন। পর্যাপ্ত পানীয় জল মিলছে না। কোনওরকমে যেটুকু জল নিয়ে আসা যাচ্ছে তাতে কাজ চালাতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পুকুর থেকে নিতে হচ্ছে জল। কয়েকজন প্রবীণ গ্রামবাসীর কথায়, ‘আমরা জানি পুকুরের জল পান করা উচিত নয়। কিন্তু এখন উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই পুকুরের জলও ব্যবহার করতে হচ্ছে।’