এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ যাতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায় তার জন্য সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই এই কাজের অগ্রগতি দেখতে ঘাটাল যাচ্ছেন মানস ভুঁইয়া বলে খবর। এমনকী ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকও করতে চলেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে সেচ দফতরের অফিসার এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন মানস ভুঁইয়া। আজ, বুধবার রাজ্য বাজেট আছে। সেখানে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কোনও বরাদ্দ থাকে কিনা সেটা দেখার বিষয়।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের দেওয়া অর্থে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে? সেটা জানতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে বলেছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে বলে সূত্রের খবর। কারণ এই কাজ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে হোক তা চান মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে সেহেতু কাজ তাড়াতাড়ি এবং সঠিকভাবে হোক চান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেখিয়ে দিতে চান, যা তাঁদের করার কথা ও করতে ব্যর্থ হয়েছে সেটা রাজ্য সরকার করে দেখাল।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল সীমান্তে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে অনিশ্চয়তার মেঘ, কী করবে বনগাঁ পুরসভা?
আর ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে শিলাবতী নদীর পাড়ে গার্ডওয়াল নির্মাণ, কংসাবতী এবং রূপনারায়ণ নদ সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে। তার জন্য নানা জায়গায় পাম্প হাউস তৈরি করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই মাটি পরীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে। স্লুইস গেট নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের বর্ষার আগেই স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে দু’টি বড় পাম্প হাউস তৈরি হবে। তার জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সমস্ত কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে আগামী ১৬ তারিখ ঘাটাল যাচ্ছেন মানসবাবু।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেবের প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ করছে না। অনেকবার বলা সত্ত্বেও লাভ হয়নি। তাই রাজ্য সরকার যাতে এই কাজ করে সেটার জন্য উদ্যোগী হবেন তিনি। তারপর ঘাটাল থেকে বিপুল পরিমাণ ভোটে জেতেন অভিনেতা দেব। আর রাজ্য সরকার কথা রাখতে নিজস্ব কোষাগারের অর্থে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্প গড়ে তুলতে দু’হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত রূপ পেলে এই জেলার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাবেন।