চোদ্দ মাসের কন্যাসন্তানকে আছড়ে মারার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনা হাওড়ার আমতার কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকুড়া গ্রামের। অভিযুক্ত বাবার নাম প্রসেনজিৎ পাল। তাঁর দাবি, মিথ্যা বলছেন স্ত্রী।
নিহত শিশুকন্যার মা তনুশ্রী পালের দাবি, তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎ অধিকাংশ সময় মত্ত অবস্থায় থাকেন। মেয়ে হওয়ার পর থেকেই তাঁর ও শিশুটির ওপর অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শিশুটির খাবার ও চিকিৎসার খরচ দিতে অস্বীকার করেন বাবা। এর জেরে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি।
কিছুদিন আগে এক আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখন মেয়েকে হাত থেকে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারেন প্রসেনজিৎ। এর পর মেয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়নি সে। তনুশ্রীর বাপের বাড়ির লোকেরা শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক MRI করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু MRI করানোর টাকা দিতে অস্বীকার করে শিশুটির বাবা। তনুশ্রীর বাপের বাড়ির লোকেরাই টাকা জোগাড় করে শিশুটিকে MRI করাতে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানে বন্ডে সই করতে অস্বীকার করে প্রসেনজিৎ।
বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি ফের জ্ঞান হারায়। এর পর শ্বশুরবাড়িতে যান তনুশ্রী। কিন্তু বাড়ির কেউ তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এর পর প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তিনি। রাতে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। গভীর রাতে মৃত্যু হয় শিশুটির।
অভিযুক্ত বাবার দাবি, আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি ওদের লাগাতার আর্থিক সহায়তা করতাম। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে সুস্থই ছিল। কী ভাবে মারা গেল জানি না।