Suicide in Sonarpur: অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক প্রেমিকের, ভিডিয়ো কলে আত্মহত্যা ক্লাস ১১-র প্রেমিকার

স্মৃতি মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক কামরাবাদ বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বাবুসোনা হালদারের। সম্প্রতি বাবুসোনার সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে দুজনের ঝামেলা বাঁধে। তাদের মধ্যে শনিবার সকাল থেকে তুমুল ঝগড়া হয়। স্মৃতির বাড়িতেও গতকাল সকালে একবার আসে বাবুসোনা।

অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল প্রেমিকের। কিন্তু, সেই সম্পর্ক কিছুতে মেনে নিতে পারেনি প্রেমিকা। সেই অভিমানে প্রেমিককে ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা এলাকার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৯ ওয়ার্ডের কামরাবাদ ভৌমিক পার্ক এলাকায়। মৃতা ছাত্রীর নাম স্মৃতি মণ্ডল। ওই কিশোরী কামরাবাদ গার্লস স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, স্মৃতি মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক কামরাবাদ বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বাবুসোনা হালদারের। সম্প্রতি বাবুসোনার সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে দুজনের ঝামেলা বাঁধে। তাদের মধ্যে শনিবার সকাল থেকে তুমুল ঝগড়া হয়। স্মৃতির বাড়িতেও গতকাল সকালে একবার আসে বাবুসোনা। দুজনে কথা বললেও কোনও সমাধান হয়নি। বাবুসোনা চলে গেলে ফোনে দুজনের ফের তুমুল ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় স্মৃতির বাবা ও মা কাজের জন্য বাইরে ছিল। বাড়িতে ঠাকুমা থাকলেও তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। সেই অবস্থায় বাইরের গ্রিলে তালা মেরে ঘরের ভিতরে ঢুকে ভিডিয়ো কল করে বাবুসোনা। নিজেরই ওড়না দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। বাবুসোনার দিদি ও তার বন্ধু সুরভী মৃধা ভিডিয়ো কলের বিষয়টি জানতে পেরে স্মৃতিকে এসে ডাকাডাকি করে। কিন্তু, কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ঘর থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় স্মৃতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় প্রেমিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্মৃতির বাবা শম্ভু মণ্ডল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাবুসোনা ও তার পরিবার। স্মৃতির মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।

মৃতার মা কল্পনা মণ্ডল জানান, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবু সোনার। কিন্তু, তারইমধ্যে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বাবু সোনা। এরপর থেকে আমার মেয়ের সঙ্গে তার কথা বন্ধ ছিল। ইদানিং আবার বাবুসোনা আমার মেয়েকে ফোন করতে শুরু করে। এমনি তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিও হয়। তারপরে আমার মেয়ে এমন কাণ্ড করে বসল। আমরা চাইছি ওই ছেলেটিকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।’