বাম জমানার শেষ দিকে পারিবারিক সমস্যায় সিপিএম নেতৃত্বের নাক গলানোর অভ্যাসে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল জনমানসে। মৌরসিপাট্টা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে এলাকায় নিজেদের আইন বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন সিপিএম নেতারা। ক্ষমতার দম্ভের সেই স্তরে কি প্রবেশ করে গিয়েছে তৃণমূলও? উত্তর ২৪ পরগনায় একটি ঘটনায় সেই প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগ, হাবরা থানা এলাকার পৃথিবার এক কলেজছাত্রী স্থানীয় তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যের হুমকিতে আত্মঘাতী হয়েছেন। নিহত প্রীতি ঘোষ (২০)-র পরিবারের দাবি, অতনু নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিএ তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর। প্রায় ১ বছরের সম্পর্ক সম্প্রতি জানাজানি হয়ে যায়। এর পরই কিশোরীকে সম্পর্ক থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে শুরু করে অতনুর পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামেরই রাস্তায় অতনুর কাকা অনুপ প্রীতিকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ দাস, সম্পর্ক থেকে না সরলে প্রীতিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি এসে সেকথা মাকে জানান প্রীতি। এর পর রাতে ঘুমাতে চলে যান নিজের ঘরে। সকালে সেখানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারে গেলে অনুপ দাসের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। তাদের দাবি, অনুপের হুমকির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন কিশোরী। যদিও কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।