বাঁকুড়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল রেললাইন থেকে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ছাত্রী আবাসের বন্ধ ঘর থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিধাননগরে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বাকিদের মধ্যে।
ঠিক কী ঘটেছে পষ্চিম বর্ধমানে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর নাম সূরিয়া ভারতী। ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে হচ্ছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তবে মৃতের পরিবার আত্মহত্যার বিষয়টি মানতে চাননি। নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
কেমন করে প্রকাশ্যে এল ঘটনা? কলেজ সূত্রে খবর, বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা সূরিয়া ভারতী ইলেকট্রনিক্স টেলি কমিউনিকেশনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। শুক্রবার কলেজের পরীক্ষা দিয়ে ফিরেছিলেন ছাত্রীনিবাসে। দুপুরে একটা ফোন আসে। তাতে তিনি কথা বলেছিলেন। আর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তখনই পুলিশে খবর দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
ঠিক কী অভিযোগ পরিবারের? পরিবার সূত্রে খবর, ছাত্রীর পরিবারের লোকজন দুর্গাপুরে এসে বলেন, ‘এই মৃত্যু সন্দেহজনক। পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আর এই মৃত্যুর পিছনে কলেজ জড়িয়ে রয়েছে। মেয়ের উপর অত্যাচার করা হয়েছিল। ভয় দেখানো হয়েছিল।’