প্রকাশ্যে রাস্তায় প্রেমিকের বুক ব্লেড দিয়ে চিরে দিলেন প্রেমিকা। আক্রমণ করলেন প্রেমিকার দাদাও। সেই ছবি ধরা পড়ল সিসিটিভির ক্যামেরায়। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়া এলাকায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। ইতিমধ্যে আক্রান্ত যুবক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে শেখ আফসার আলি নামে এক যুবক স্থানীয় ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিল। সেই সময় তাঁকে ফোন করে ডাকেন আফসারের প্রেমিকা নাজ খাতুন। নাজ তাঁকে কাছেই বটতলা এলাকায় আসতে বলেন। আফসার এলে তাঁর সঙ্গে নাজের বেশ কিছুক্ষণ বচসা হয়। এরপর আফসারের দিকে ব্লেড নিয়ে তেড়ে যান। ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে শুরু করেন। তাঁর বুক চিরে দেন। এখানেই থেমে থাকেননি নাজ। ডেকে নেন তাঁর দাদাকেও। নাজের দাদাও একইভাবে আক্রমণ করতে থাকেন আফসারকে। শেষপর্যন্ত আফসার প্রাণে বাঁচতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয় ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কাছেই একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আফসারের বুকে পাঁচটি ও হাতে ১০টি সেলাই পড়েছে। চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে আক্রান্ত যুবকের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে নাজের দাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আফসার নাজের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। আর এতেই চটে গিয়ে এই কাজটি করেছেন নাজ। তবে পুলিশ বোঝার চেষ্টা করছে, এই আক্রমণের পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে আছে কিনা। তবে দুজনের মধ্যে যে সম্পর্ক অনেকদিন ধরেই ছিল, সেটা এলাকার বাসিন্দার থেকেই জানা যায়। এদের দুজনকে প্রায়ই রাস্তায় গল্প করতে দেখা যেত। পুলিশ জানতে পেরেছে, ২১ বছর বয়সি শেখ আফসারের গার্মেন্টসের ব্যবসা। বছর খানেক আগে থেকে নাজের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তবে কেন দুজনের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরল, সেই কারণই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।