জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে আমরণ অনশনে বসেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং। সর্বদলীয় বৈঠক করে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল। আর তারপরই বেঁকে বসেছিলেন তিনি। চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু তাতেও ফল না মেলায় আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার থেকে অনশনে বসেন বিমল গুরুং। তবে অনশনের তৃতীয় দিনেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছে দার্জিলিংয়ে? আজ, শুক্রবার অনশনের মাঝে শরীর খারাপ হতে শুরু করে বিমল গুরুংয়ের। সুগারের সমস্যা, পিঠে ব্যথা থেকে শুরু করে মূত্রের সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। দার্জিলিং সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এসে পরীক্ষাও করে যান। বুধবার থেকে অনশন শুরু করেছেন বিমল গুরুং। স্ত্রী চুম্বন করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সিংমারী পার্টি অফিসের সামনে অনশন শুরু করেন তিনি। তবে এখন পুরোপুরি সুস্থ নন গুরুং।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পাহাড় সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর দার্জিলিং থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এবার গোর্খা জিটিএ–এর নির্বাচন করা হবে। জিটিএ নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আরও বেশ কয়েকটি মৌজা যোগ করার দাবি তুলেছেন গুরুং।
আজ, সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেখানে ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর তা না করার দাবি নিয়েই অনশনে বসেছেন জিজেএম কর্মীরা। তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। এবার তাঁদের নেতৃত্ব দিতে অনশনে বসলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং।