জিটিএ নির্বাচন জুন মাসে হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণার পরই তিনি অনশনে বসবেন বলে ডাক ছেড়েছিলেন। আজ, বুধবার অনশনে বসলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। এই নির্বাচন এখনই চাননি তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই অনুরোধ পাহাড়ের ধসে মিলিয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদে অনশন।
ঠিক কী দেখা গেল পাহাড়ে? আজ অনশন মঞ্চে বিমল গুরুংয়ের স্ত্রী তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। তারপর তাঁকে চুম্বন দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। রোশন গিরিও আজ তাঁর নেতাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। তারপর পাশেই বসে থাকেন রোশন। দলীয় কর্মীরা বিমল গুরুংয়ের নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন। ফলে আবার পাহাড়ের ঈশান কোণে কালো মেঘ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পাহাড়ে ফিরে এসে বিমল গুরুং জোট বাঁধে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই। তখন গুরুং বলেছিলেন, ‘পাহাড়ের স্বার্থে রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে মেনে নেব।’
ঠিক কী বলছেন বিমল গুরুং? এই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে বিমল গুরুং বলেন, ‘আমাদের দাবি পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে। জিটিএ’র মধ্যে ৩৯৬টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তারপর নির্বাচন করা যেতেই পারে। কিন্তু এখন এটা আমরা মেনে নেব না। তাই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মেনেই আমি বুধবার থেকে অনশনে বসলাম।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে পাহাড়ে। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে এই দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন হবে। ভোটগণনা–ফলপ্রকাশ হবে ২৯ জুন। বিমলের এই সিদ্ধান্তে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন মেলেনি। ফলে এই অনশন কোনদিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।