কোটি কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল বিএসএফ। এই বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট পাচারের আগেই তা ধরা পড়ে গেল। প্রায় ৫২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল বিএসএফ জওয়ানরা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী জেলায়। দু’জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বাংলা–বাংলাদেশ চেকপোস্ট দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট পাচার করার ছক কষেছিল। যা বানচাল করে দিল কড়া পাহারায় থাকা বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতাগামী একটি বাসে উঠে পড়েছিল তারা। পেট্রাপোল সীমান্ত যখন পেরনোর ঠিক আগে গোপন সূত্রে খবর চলে আসে বিএসএফ জওয়ানদের কাছে। আর তখনই জওয়ানরা ওই বাসটিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তারপর বাসে উঠে তল্লাশি শুরু হয়। বাসের তেলের ট্যাংকের হোলে পাইপে এই বিপুল সোনা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় বাসের চালক মুস্তাফা এবং খালাসি মাতুর রহমান আকন্দকে বিএসএফ আটক করেছে। এই দু’জনেই বাংলাদেশের বাসিন্দা।
আর কী জানা যাচ্ছে? বাংলাদেশ থেকে এই বিপুল সোনা নিয়ে ভারতে ঢোকার ছক ছিল। কিন্তু পেট্রাপোলে ১৪৫ ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় তা ধরা পড়ে গিয়েছে। এই যাত্রীবাহী বাস আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতায় আসছিল। ওই বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৫২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। এই সোনার বিস্কুটগুলির একত্রে ওজন ৬ হাজার ৯৫০ গ্রাম। যার মোট বাজার মূল্য ৪ কোটি ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৮২ টাকা। ডিজি বিএসএফ এই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের জন্য সীমান্তে থাকা জওয়ানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঠিক কী তথ্য উঠে আসছে? সোনা পাচারের বাড়বাড়ন্ত কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিএসএফ জওয়ানদের। তাই এই পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে বিএসএফ অনুরোধ করেছে যাতে সন্দেহজনক কোনও কিছু দেখলেই খবর দেন তাঁরা। এমনকী এলাকাবাসীর জন্য সীমা সাথী প্রকল্পের হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ দেওয়া হয়। এছাড়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেটি হল— ৯৯০৩৪৭২২২৭। এই নম্বরেই ফোন আসে বিএসএফের কাছে। সেই সূত্র মারফত খবর পেয়েই পাচারকারীদের গ্রেফতার করে জওয়ানরা। দু’জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup