মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে চর্চা শুধু হাওড়া এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সেই আলোচনা পৌঁছে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। কারণ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মনসুকা এলাকায় ঝুমি নদীর উপর সেতু নির্মাণের শিলান্যাস করলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সরকার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। বর্ষায় বিচ্ছিন্ন হওয়া যোগাযোগ ও একমাত্র নৌকায় যাতায়াতে নির্ভরতার দিন ঘুচল মনসুকা–সহ একাধিক গ্রামের মানুষের। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।
সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত ও নগরান্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজীব কেন মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন, তা জানতে পারলাম না। তবে পদত্যাগ করা ওঁর অধিকার। উনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু কেনও করলেন তা উনি নিজে বলতে পারবেন। একজন মানুষ দলবদল করলে দলের ক্ষতি হয় না। তবে আমি চাই না কোনও ভালো লোক দল ছেড়ে যান।’
উল্লেখ্য, ভগবতী দেবীর নামে নামাঙ্কিত মনসুকা ভগবতী সেতুর নামকরণ করা হয়েছে। ভগবতী সেতুটি ৮২২ ফুট লম্বা। চারটি পিলার ২১ ফুট প্রশস্ত দু’টি গাড়ি পাশাপাশি যাতায়াত করতে পারবে। তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। বর্ষায় এখানকার মানুষ কষ্ট পেতেন। এবার থেকে তা আর হবে না। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় খুশি হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে এখানে এসে রাজীব সম্পর্কে সুব্রতবাবু যা বললেন তা দুটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। এক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। দল ছাড়েননি। দুই, সুব্রতবাবু যখন এই বিষয়ে মন্তব্য করছেন তখন পর্যন্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য দলে নাম লেখাননি। এখনও তাঁর সঙ্গে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ও বিধায়ক–পদ রয়েছে। তাহলে সুব্রতবাবু কেন এমন কথা বললেন? উঠছে প্রশ্ন।