এবার ব্যবসায়ীদের মারধর ও মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুটপাট করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে এমন ঘটনা ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে মালদায়। দুই ব্যবসায়ীকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারধর করে ব্যাপক ছিনতাই এবং লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। তবে এমন মারধর করা যে, এক ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করতে হয়েছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কিত। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীদের পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাপক মারধর করতে শুরু করে। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে দেদার লুটপাট। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লুটপাট করা হয় নগদ অর্থ এবং বোলেরো গাড়ি। আর একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লুটপাট করে নেওয়া হয় নগদ অর্থ এবং ল্যাপটপ। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়। লোহার রড দিয়ে মারধরের জেরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যবসায়ী। পুলিশ তদন্তে নেমে দু’জন সন্দেভাজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ঠিক কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা এটি। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার ব্যবসায়ী শুভম আগরওয়াল রাত ২টো নাগাদ ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন বাংলা–বিহার সীমান্তবর্তী কুমেদপুর ক্লাবের পাশে নাকা চেক পয়েন্টে ওই ব্যবসায়ীর পথ আটকায় একদল দুস্কৃতী। মাথায় আগ্নেয়স্ত্র ঠেকিয়ে লুটপাট করার পর লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার কাছে থাকা নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আর ফিরে যাওয়ার সময় তারা শূন্যে গুলি চালায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর শুভম আগরওয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আবার ভোর ৫টা নাগাদ রামসিমুল গ্রামের ব্যবসায়ী সেফিকুল আলির গাড়ির চালক তাঁর বোলারো গাড়ি নিয়ে কুমেদপুরের দিকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন। নীলকুটি ঈদগাহের পাশে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা করে। মাথায় আগ্নেয়স্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই করে এবং গাড়ি থেকে নামিয়ে বোলারো গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই দুটি ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ দু’জন সন্দেহভজনকে আটক করেছে। তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুটি ঘটনা একই দুষ্কৃতী দলের কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।