দীপাবলির রাতে মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। আর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করল তারা। দুর্গাপুরের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর থানার জব্বর পল্লী এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনায়তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আজ, বুধবার অভিযুক্তদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। সেখানে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।।
ঠিক কী ঘটেছে দুর্গাপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, দীপাবলির দিন বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই ফাঁকা বাড়ি থাকার সুযোগ নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। তারপর জোর করে মুখ চেপে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যায় জব্বর পল্লীর জঙ্গলে। সেখানেই রাতে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই নৃশংস অত্যাচার করে তাঁকে সেখানেই ফেলে চম্পট দেয় ওই চারজন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার কযেকজন পরদিন সকালে ওই জঙ্গলের পথে যেতে ওই মহিলাকে পনে থাকতে দেখেন। তখন তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে এই অত্যাচার করেছে দুষ্কৃতীরা। পরে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে চারজন যুবককে ওই এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
আর কী জানা গিয়েছে? যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে—তারা ষষ্ঠী বাউড়ি, অভিজিৎ বাউড়ি, অর্জুন বাউড়ি এবং মানু মাসারক হোসেন। এরা পরিকল্পনা করে ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে তুলে নিয়ে জঙ্গলে যায়। সেখানে তারা গণধর্ষণ করে গা–ঢাকা দেয়। আজ, বুধবার তাদের পুলিশ হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।