ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই কৌশলে সরিয়ে দিয়েছেন একদা সতীর্থ বিনয় তামাংকে। এবার নতুন করে পথ চলার কথা ঘোষণা করলেন অনীত থাপা। এই অনীতের সঙ্গেই অম্ল–মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়ে বিনয়ের। পাহাড় থেকে সমতল সেই কথাই সবাই বলছেন। তবে তারপর থেকে নিজেকে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছেন অনীত। টানা দু’দিন ধরে দার্জিলিংয়ে দলীয় বৈঠক করছেন অনীত। ঘুম, জোড়বাংলো এলাকায় বিনয় জমানায় ছেড়ে যাওয়া যুব মোর্চার সদস্যদের ফের দলে ফিরিয়ে এনে অনীত বলেন, ‘পতাকা বদল হবে না। মানুষের চিন্তার বদল করতে হবে৷ তাই নতুন করে পথ চলা শুরু হল।’
এই পরিস্থিতিতে গুরুং শিবিরের দার্জিলিংয়ের প্রাক্তন সভাপতি তিলক রোকাও বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে অনীতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। সমীকরণ এখন পাল্টে গিয়েছে পাহাড়ে। তাই অনীত জানান, এতদিন যা হওয়ার তা হয়েছে। এবার নতুন করে শুরু করতে হবে। পাহাড়কে শীর্ষে পৌঁছে নিয়ে যেতে তিনি কাজ করছেন। আসলে নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে অনীত এখন সবদিক থেকে গুছিয়ে নিতে চাইছেন বলে মনে করছেন পাহাড়ের রাজনৈতিক কুশীলবরা।
অনীত সাংগঠনিকভাবে শক্ত ভিত তৈরি করতে রিম্বিক, লোধামা, কাজলে, রেলির মতো নানা এলাকার দলীয় নেতা–নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। একক সংগঠন সাজিয়ে তোলার কথাও দলীয়স্তরে বলেছেন। গুরুংপন্থীদেরও প্রয়োজনে আবার দলে টানার ইঙ্গিত দিচ্ছেন অনীত। সুতরাং বিনয়–বিহীন পাহাড়ে অনীত নিজেকে বেতাজ বাদশা তৈরি করতে চাইছেন বলেই খবর।
এখন সর্বত্র একা ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনীত থাপা। দার্জিলিং আগে বিনয় দেখতেন। সেখানে এখন অনীতই সবটা দেখভাল করছেন। আর কার্শিয়াং, কালিম্পঙে অনীত আগেও দেখভাল করতেন। এখনও করছেন। সুতরাং বিনয়ের কোনও ছায়া নেই এখন। বিনয়ের অনুপস্থিতিতে অনীতই সংগঠনের দিকে নজর রাখছেন। তবে বিমল গুরুং এখন ফিরে এসেছেন। অনীত বরাবর বিমল ঘনিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে এখন কি হয় সেটাই দেখার।