বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > GTA: জিটিএ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা‌, নয়া সমীকরণ কি তৈরি হচ্ছে?

GTA: জিটিএ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা‌, নয়া সমীকরণ কি তৈরি হচ্ছে?

শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন রোশন গিরি।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জিটিএ চুক্তি থেকে সাক্ষর প্রত্যাহার করার ঘটনায় জিটিএ’‌র ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলবে। কালিম্পংয়ের একটি জনসভায় একমঞ্চে দেখা যায় বিনয় তামাং, বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডকে। এতদিন তিনজনের রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল পৃথক। হঠাৎ এক হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থ আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করে নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আর এই বিষয়টি জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আজ, শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তাঁর দাবি, জিটিএ তৈরি করা হয়েছিল পাহাড়ে গোর্খা জনজাতির উন্নয়নের জন্য। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে, এত বছরেও গোর্খাদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও কাজ হয়নি। তাই জিটিএ থেকে বেরতে চায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

এদিকে ২০১১ সালের ১৮ জুলাই শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে কেন্দ্র, রাজ্য এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে সভাপতি বিমল গুরুংয়ের উপস্থিতিতে তিনি নিজে সাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু এখন এই জিটিএ চুক্তি থেকে তিনি তার সই প্রত্যাহার করে নিলেন। এই জিটিএ চুক্তি অবশ্য পরবর্তীতে আইনে পরিবর্তিত হয়েছিল। এই চিঠির ফলে ভেঙে যেতে পারে জিটিএ বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন রোশন গিরি?‌ অন্যদিকে জিটিএ চুক্তি থেকে সাক্ষর প্রত্যাহার করার কারণ হিসেবে তিনি জানান, গোর্খাদের উন্নয়নের জন্য জিটিএ অর্থাৎ গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠন করা হয়েছিল। তবে তাঁর অভিযোগ, এত বছরেও গোর্খাদের কোনও উন্নয়ন করতে পারেনি জিটিএ। তিনি বলেন, ‘‌আমরা আমাদের সই প্রত্যাহারের মাধ্যমে সমর্থন তুলে নিলাম। এরপরে আগামী দিনে এই জিটিএ’‌র ভাগ্য সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র–রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই নিয়ে রোশন গিরির আরও অভিযোগ, প্রত্যেক বছর জিটিএ–তে ট্রাইপাটাইট মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও বহু বছর কোনও মিটিং হয়নি। শেষ মিটিং হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি। যদিও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জিটিএ চুক্তি থেকে সাক্ষর প্রত্যাহার করার ঘটনায় জিটিএ’‌র ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলবে। গত ২৩ জানুয়ারি কালিম্পংয়ের একটি জনসভায় একমঞ্চে দেখা যায় বিনয় তামাং, বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডকে। যদিও এতদিন পর্যন্ত তিনজনের রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল পৃথক। হঠাৎ তাঁরা এক হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ কেন্দ্র যদি না চায় তাহলে জিটিএ চুক্তি ভেঙে যেতে পারে। তাতে পাহাড়ের উন্নয়ন বাধা পাবে। আবার মাথাচাড়া দেবে পৃথক গোর্খাল্যান্ড বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি।

বন্ধ করুন