কিছুদিন আগেই দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় পোস্টার পড়েছিল বিজিএসপির নামে। এদিকে তখনও আত্মপ্রকাশ করেনি নতুন এই দল। এই দলকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল ছড়িয়েছিল। এবার দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান কলামন্দিরে সেই দলের আত্মপ্রকাশ হল রবিবার। দলের নাম ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ(বিজিএসপি)। এদিকে আত্মপ্রকাশের মাস খানেকের মধ্যে দার্জিলিং পুরসভা দখল করেছিল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। এবার বিজিএসপি কী করে সেটাই এখন দেখার।
এদিকে এই দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এসপি শর্মা গোর্খাল্যান্ডপন্থী গোর্খা লিগের নেতা হিসাবেই পরিচিত। চরমপন্থী আন্দোলনের নানা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। অন্যদিকে বরাবরই পাহাড়ের অন্যতম প্রধান ইস্যু গোর্খাল্যান্ড। বিগতদিনে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে এই গোর্খাল্যান্ডের দাবিতেই দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছে। তবে বর্তমানে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সেই গোর্খাল্যান্ডের ইস্যুতে বিশেষ উচ্চবাচ্য করে না মোর্চা। তবে এবার পাহাড়ের সেই মন কী বাত নিয়ে হাজির বিজিএসপি। এমনটাই বলা হচ্ছে বিভিন্ন মহলের তরফে।
নতুন দল বিজিএসপির মূল দাবি গোর্খাল্যান্ড। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এসপি শর্মা জানিয়েছেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য গোর্খাদের সুরক্ষা। আমাদের মূল লক্ষ্য গোর্খাল্যান্ড। পাহাড় নিয়ে সব রাজনৈতিক দলই শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও মিল নেই। তবে কি জিটিএ নির্বাচনে অংশ নিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলবে বিজিএসপি?নেতৃত্বের দাবি, আন্দোলনের সময় মামলাগুলো আগে প্রত্যাহার করুক। তারপর জিটিএ নিয়ে ভাবব। আগামী মে মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উত্তরবঙ্গ সফর হতে পারে। তখন পৃথক রাজ্যের দাবি জানাবে বিজিএসপি।