আগামী শুক্রবার আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ'। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই কারণে আজ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাইকিং করে প্রচার চালানো শুরু করল রাজ্য। এদিকে, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এন ডি আর এফ)-এর আটটি দল রাজ্যে মোতায়েন করেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে দুটি দল মোতায়েন থাকবে কলকাতায়। এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং নদীয়ায় একটি করে দল মোতায়েন থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আজই জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবেলা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, উপকূলবর্তী জেলাগুলির বিস্তীর্ণ এলাকায় মাইকিং করে সর্তকতা আজ জারি করেছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবার, ফ্রেজারগঞ্জ ,নামখানা, বকখালি প্রভৃতি এলাকায় মাইকিং করে এদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। পাশাপাশি , এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে জেলার সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলি যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষ করে একাধিক নদীর বাঁধ এখনও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় 'জাওয়াদ' এর প্রভাবে একাধিক এলাকায় বাঁধ ভাঙতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্স এর বিশেষ দল আগামীকাল সুন্দরবন উপকূলে পৌঁছাবে বলে জানা গিয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাকদ্বীপে চারটি সাইক্লোন সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে, কলকাতা পুরসভাও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। শহরে জল জমা রুখতে ইতিমধ্যেই ৭৬ টি পাম্পিং স্টেশনকে সক্রিয় রাখা হয়েছে।
শুক্রবার আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের। ইতিমধ্যেই সাত জেলায় বৃষ্টি সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সেইসঙ্গে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ারও সর্তকতা দেওয়া হয়েছে।