লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে হুগলি জেলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন করিডর তৈরির দাবি উঠেছিল। আসলে এখান থেকে বহু মানুষ দিঘা–শান্তিনিকেতন–তারাপীঠে যেতে চান। কিন্তু ট্রেন ছাড়া গতি নেই। কিন্তু ট্রেনের টিকিট সবসময় জরুরি মুহূর্তে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হলে ভাল হয় বলে নাগরিকদের দাবি। তাই এবার চুঁচুড়ার নাগরিকদের জন্য দিঘা–শান্তিনিকেতন–তারাপীঠ সফর করার জন্য সপ্তাহ শেষে বিলাসবহুল বাস চালানোর প্রস্তাব উঠেছে। আর এই প্রস্তাব চুঁচুড়া পুরসভার পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে দেওয়া হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়, সপ্তাহ শেষে জলপথ পরিবহণের মাধ্যমে কলকাতা ও চুঁচুড়ার মধ্যে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছে চুঁচুড়া পুরসভা। আর পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় এই বিষয়ে বলেন, ‘দিঘা–শান্তিনিকেতন–তারাপীঠ প্রায়ই যান বাঙালি ভ্রমণপিপাসুরা। চুঁচুড়ার মানুষের দাবি মেনে নিয়ে আমরা পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সরকারি বাস চালানোর কথা বলা হয়েছে। আর জলপথে চুঁচুড়ার মানুষ কলকাতায় এবং কলকাতার মানুষ ব্যান্ডেল, চুঁচুড়ায় যাতে ভ্রমণে আসতে পারেন, তার প্রস্তাবও জমা দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় জেলার অর্থনীতির বাড়তি প্রসার ঘটবে।
আরও পড়ুন: এক্সিট পোলের পরই তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীদের মারধর, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের গণনা এবং ফলপ্রকাশ হবে। তাই আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সবাই। একদিকে স্নায়ুর লড়াই অপরদিকে কাজ চালিয়ে যাওয়া দুই–ই করতে হচ্ছে। সেখানে এমন প্রস্তাব পেলেও তা চালু হতে অন্তত একসপ্তাহ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘এখন নির্বাচনী বিধি জারি আছে। তাই কোনও প্রকল্প নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না। তবে প্রস্তাবটি বেশ আকর্ষণীয়। ওই বিষয়ে বিভাগীয় স্তরে চর্চা হবে।’
হুগলি জেলায় এমন অনেক কিছুই আছে যাকে পর্যটনে জায়গা দেওয়া যায়। এবার দিঘা এলাকায় জগন্নাথ দেবের মন্দির হয়ে গেলে আকর্ষণ আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এমনিতেই এখানে ভিড় জমান মানুষজন। সৈকতনগরী সবসময় জনপ্রিয়। সেখানে জেলা থেকে সরাসরি আসার ব্যবস্থা হলে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। তাই বিলাসবহুল সরকারি বাস পরিষেবা চালুর দাবি তুলেছে চুঁচুড়া পুরসভা। আবার জেলা থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আবার তীর্থস্থান তারাপীঠের আকর্ষণও কম নয়। এই গোটা বিষয়টিকে পর্যটন প্যাকেজের মধ্যে এনে ফেলতে চাইছেন পুরকর্তারা।