রাজ্য সরকারের চক্ষু হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অফথ্যালমোলজিকে (আরআইও) ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। শুক্রবার রাতে মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর রাতারাতি সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
বর্তমানে মেডিকেল কলেজের বিল্ডিংয়ে রয়েছে আরআইও ভবনটি। সম্প্রতি মেডিকেল কলেজে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। সেই ট্রমা সেন্টার খোলা নিয়ে গতকাল রোগী কল্যাণ সমিতির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। প্রাথমিকভাবে মেডিকেল কলেজের এজরা বিল্ডিংয়ে ট্রমা সেন্টার খোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এই বিল্ডিংয়ে যা জায়গা রয়েছে, তাতে সেখানে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার করা সম্ভব নয় বলে মতামত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার তৈরি করা নিয়ে জায়গা ঠিক করতে শুরু করে স্বাস্থ্য ভবন। শেষপর্যন্ত ১৯৩৩ সালে তৈরি হওয়া আরআইও ভবনটি ভেঙে সেখানে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ আসেন। সেই কারণে আরআইওকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এনআরএস হাসপাতালের পাশে একটি জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সেখানেই নতুন আরআইও ভবন তৈরি করা হবে। তবে নতুন আরএইও ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরনো আরআইও ভবনকে ভাঙা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনের পুরনো এই বিল্ডিং ভেঙে দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি জানিয়েছেন, কোনও জায়গা না থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নতুন যে আরআইও ভবন করা হবে তা অনেক অত্যাধুনিক করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।