ছাত্রীকে লাগাতার কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে সরকারি ITIএর শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জালালউদ্দিন অহমেদ বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বুনিয়াদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির এক ছাত্রী। এই ঘটনায় ITI প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শিক্ষককে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, রাতে কোনও ছাত্রীকে অনলাইনে দেখলেই ফোন করে বা চ্যাটে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন সরকারি ITIএর ওই আইটিআইয়ের শিক্ষক জালাউদ্দিন। সম্প্রতি এক ছাত্রী তাঁকে জানান তাঁর আধার কার্ডের তথ্যে ভুল রয়েছে। তাঁকে ওই শিক্ষক জানান, এই ভুল সংশোধনের জন্য ছাত্রীকে তাঁর সঙ্গে বুনিয়াদপুর থেকে কলকাতা যেতে হবে। সেখানে ৩ - ৪ দিন থাকতে হবে তাঁর সঙ্গে। তবেই আধার সংশোধন করা সম্ভব। এমনকী ছাত্রীদের আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করার অভিযোগও রয়েছে জালালউদ্দিনের বিরুদ্ধে।
পড়ুয়াদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। অভিযুক্ত জালালউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। অবশেষে গত ২২ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এর পর কার্যত বাধ্য হয়ে জালালউদ্দিনকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ। এর পর বুনিয়াদপুর থানায় গিয়ে জালালউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক ছাত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জালালউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে অভিযুক্ত জালালউদ্দিন আহমেদের দাবি, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে জালালউদ্দিনের কীর্তির স্ক্রিনশট ঘুরে বেড়াচ্ছে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোনে।