বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রাজপুর-সোনারপুরে বেআইনিভাবে সরকারি জমি বিক্রি! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

রাজপুর-সোনারপুরে বেআইনিভাবে সরকারি জমি বিক্রি! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

নরেন্দ্রপুর থানা। ফাইল ছবি।

এই কাজে সাহায্য করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, এই সমস্ত জমি সরকারি দখলমুক্ত করার পিছনে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠতেই তা জানানো হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানা থেকে শুরু করে পুরসভা, বারুইপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে এবং জেলা শাসকের দফতরে।

রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকায় সরকারি জমি দখল করে তা বিক্রি এবং সেখানে দোকান তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ উঠেছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। পুরসভার চেয়ারম্যান এমনকি স্থানীয় বিধায়কও এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় সরকারি জমি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাজোয়ার এলাকায় পূর্ত দফতরের জমি দখল করা হচ্ছে এবং সেখানে দোকান ঘর তৈরি করা হচ্ছে। তারপরে সেই জমি বিক্রি করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকায়। এই কাজে সাহায্য করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, এই সমস্ত জমি সরকারি দখলমুক্ত করার পিছনে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠতেই তা জানানো হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানা থেকে শুরু করে পুরসভা, বারুইপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে এবং জেলা শাসকের দফতরে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস জানান, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমাদের পক্ষ থেকেও নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বেআইনিভাবে জমি বিক্রি নিয়ে মাইকিং করে প্রচার করতে বলা হয়েছে পুলিশকে।’ কিন্তু, পুলিশ তা করেনি বলে অভিযোগ। সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনিও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন।

যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, তিনি এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘জমি দখল হয়ে যাচ্ছে শুনেছি। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।’ অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির পাশেই সরকারি জমি দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক আগেই ওই জমি দখল হয়ে গিয়েছিল। এখন নতুন করে সেখানে দোকান বাড়ি হচ্ছে।’ এ বিষয়ে মহকুমা শাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন জেলাশাসক।

বন্ধ করুন