করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশে নদিয়া জেলার একাধিক জায়গায় এক সপ্তাহব্যাপী সম্পূর্ণ লকডাউন আরোপ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বুধবার নবান্ন থেকে প্রকাশিত রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে সবিস্তারে জানানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আগামী ৭-১৪ অগস্ট নদিয়া জেলার ইতিমধ্যে কন্টেনমেন্ট এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত এলাকা-সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সম্পূর্ণ লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
লকডাউন চালু হবে শুক্রবার, ৭ অগস্ট রাত ১১.৫৯ মিনিট থেকে। শেষ হবে পরের শুক্রবার, ১৪ অগস্ট রাত ১১.৫৯ মিনিটে।
নোটিশ মোতাবেক সপ্তাহজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন আরোপ হচ্ছে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার অধীনে কৃষ্ণনগর পৌরসভা এলাকা, চাপরা ব্লকের বৃত্তিহুদা, চাপরা ১, চাপরা ২ ও মহতপুর এলাকায়। এ ছাড়া, কালীগঞ্জ ব্লকের দেবগ্রাম ও মীরা ১, কৃষ্ণনগর ১ ব্লকের ভান্দেরখোলা, ভাটজাংলা, দে পাড়া ও দোগাছি, নবদ্বীপ ব্লকের মাজদিয়া-পঞ্চশিলা এবং নাকাশিপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরি ১ ও বেথুয়াডহরি ১ জিপি-তে।
লকডাউন আরোপ হচ্ছে কৃষ্ণনগর তেহট্ট মহকুমার অধীনে করিমপুর ১ ব্লকের করিমপুর ১ ও করিমপুর ২, তেহট্ট ১ ব্লকের বেতাই ১, ছিটকা, কানাইনগর, নাটনা, তেহট্ট (তেহট্ট ১ ব্লক) ও পলাশিপাড়া (তেহট্ট ২ ব্লক) এলাকায়।
এ ছাড়া লকডাউন থাকছে কল্যাণী মহকুমার চাকদহ পৌরসভা, গয়েশপুর পৌরসভা, হরিণঘাটা পৌরসভা ও কল্যাণী পৌরসভার আওতায় থাকা এলাকায়। এ ছাড়া, তাতলা ২ (চাকদহ ব্লক) এবং কাঁচরাপাড়া ও সগুনা (কল্যাণী ব্লক) এলাকায়।
সম্পূর্ণ সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের আওতায় পড়ছে রানাঘাট মহকুমার কুপার্স ক্যাম্প এনএএ, রানাঘাট পৌরসভা ও শান্তিপুর পৌরসভা ছাড়াও থাকছে রানাঘাট ২ ব্লকের নোকারি এলাকা।
লকডাউনে বন্ধ থাকছে আপৎকালীন পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, কোভিড ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব দফতর, ব্যাঙ্ক, আদালত, জেল-সহ জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত দফতর ছাড়া সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস।
লকডাউন কবলিত অঞ্চলে বিয়ে ও শেষকৃত্যের মতো অনুষ্ঠান ছাড়া কোনও ধর্মীয় ও সামাজিক জমায়েত বা অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকছে।
লকডাউনে বন্ধ থাকছে সব বাজার, দোকান ও শপিং মল। বন্ধ থাকছে রাস্তার ধারের ধাবা, চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ।
লকডাউনে অচল থাকবে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ পরিষেবা। তবে লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা এবং লকডাউন কবলিত অঞ্চলের রাজ্য ও জাতীয় সড়কবাহী যাত্রী পরিবহণ।