নিউ টাউনের পর পূর্ব মেদিনীপুর। আবেদন করেও ছুটি না পেয়ে ফের চাঞ্চল্যকর কাণ্ড ঘটালেন এক সরকারি কর্মী। ছুটি না পেয়ে পঞ্চায়েত দফতরে কাকার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাঁধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট চিন্ময় শিট। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
চিন্ময়বাবুর দাবি, কাকার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার জন্য নিয়ম মেনে বিডিওর কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি বিডিও পূজা হালদার। যার ফলে পঞ্চায়েত দফতরেই পুরোহিত ডেকে কাকার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে হয়েছে তাঁকে। এব্যাপারে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন পঞ্চায়েতের অন্য কর্মীরাও। বিডিওর এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অন্য কর্মীরাও। বিডিওর এই আচরণকে অমানবিক বলছেন তাঁরা।
ওদিকে ছুটি মঞ্জুর না করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। চিন্ময়বাবুকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, উনি যে লিখিতভাবে ছুটির আবেদন করেছিলেন সেটা আগে প্রমাণ করুন। উনি সরকারি কর্মী হয়ে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন। বিডিও পূজা দেবনাথ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রামনগর ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের ৫ জন কর্মীকে তিনি ছুটি দিয়েছেন। তাহলে চিম্নয়বাবুকে দেবেন না কেন? আসলে ওই কর্মচারী ছুটির কোনও আবেদনই করেননি।
এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার বাঁধিয়া পঞ্চায়েত দফতরের আবহটা অন্যরকম হয়ে ওঠে। ধূপ ধুনোর গন্ধ, পুরোহিত মশাইয়ের মন্ত্রোচ্চারণে সেখানে তখন পঞ্চায়েতের বাকি কর্মীদের ভিড়। তারই মধ্যে ফুল বেলপাতা দিয়ে সমস্ত উপাচার মেনে হয় শ্রাদ্ধ।
বলে রাখি, একই ভাবে ছুটি না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা লাগোয়া নিউ টাউনের কারিগরি ভবনের এক কর্মী ৩ সহকর্মীকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেন। তার পর রক্তাক্ত ছুরি হাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকেন তিনি। একই দিনে ২টি একই ধরণের ঘটনায় রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মসংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।