সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বার বারই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে এনিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধমকের মুখেও নাকি পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবুও হাল ছাড়ার মানুষ নন দিলীপ ঘোষ। ফের সেই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর সঙ্গেই তাঁর দাবি ডিসেম্বরেই সরকার ভাঙছে।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি রামপুরহাটের সভা থেকে বলেন, সিবিআই শুধু ডাকাডাকি করছে। ধরছে। কিন্তু সাজা কই। শুধু ধরলে হবে না। সাজা দিতে হবে। না হলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে কী করে? এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের পুরানো নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলীপ ঘোষের পাশে দেখা যায়।
দিলীপ ঘোষ বলেন, সিবিআইয়ের ভয়ে লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন মন্ত্রীরা। এলাকা ছাড়া হচ্ছেন নেতারা। তাহলে সরকারটা চালাবে কে? ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার ভেঙে যাবে বলেও দাবি করলেন তিনি। একেবারে বিস্ফোরক দাবি দিলীপের। মাস উল্লেখ করে সরকারের মৃত্যুঘণ্টা কার্যত বাজিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, সেই সময় যে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ছিলেন তাদেরও জেরা করা দরকার।
বর্তমানে আসানসোল জেলে দিন কাটাচ্ছেন বীরভূম তৃণমূলের শেষ কথা অনুব্রত মণ্ডল। সেই গুড়-বাতাসার দাওয়াই কিছুটা ফিকে হয়ে এসেছে। আর সেই রামপুরহাটে বুধবার মিছিল করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। পার্থ ও অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে এদিনও তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে সবরকম চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সব মিলিয়ে কোথাও যেন সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারছে না বিজেপি। এমনটাই মত সাধারণ মানুষের।
দিলীপ ঘোষ বলেন, গত নির্বাচনে অনুব্রতর উন্নয়ন বাহিনী আমাদের মনোনয়নে বাধা দিয়েছিল। এবার অনুব্রত জেলে। দেখব কার কত কবজির জোর।