রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল না। তারপরেও মাল নদীতে কীভাবে হড়পা বান চলে এল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে নবান্ন। ঘটনার দুদিন কেটে যাওয়ার পরেও এ বিষয়ে এখনও সঠিক তথ্য পাইনি প্রশাসন। সেই কারণ জানার চেষ্টা করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
মাল নদীতে দুর্ঘটনা নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে, বিবৃতি জারি করে জানাল নবান্ন
জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে হড়পা বান এল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, সিকিম, ভুটানে মাল নদীর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে রয়েছে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়নি। ফলে সেক্ষেত্রে রাজ্যের বাইরে কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। তবে সে সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই মাল নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গটিও উঠে আসছে। মাল নদীতে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে গতিধারা ঘুরিয়ে দেওয়া এই বিপর্যয়ের কারণ কিনা তা জানতে নদী বিশেষজ্ঞের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
এছড়াও জেলায় পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত নদী গুলি কতটা বিপজ্জনক তাও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, একটি খাল কেটে মাল নদীর জলের ধারা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার ফলে এই ঘটনা ঘটেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এছাড়াও ভুটানে বৃষ্টির সময়ের তথ্য পাওয়ার জন্যও সেদেশের সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। ভুটান লাগোয়া এলাকায় বৃষ্টির জল মাপার যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।