যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান রয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। তার আগে এই অনুষ্ঠান ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অনুমতি না নিয়ে ইসির বৈঠক কেন ডাকা হল? সেই প্রশ্ন তুলে যাদবপুরের উপাচার্যকে শোকজ করলেন রাজ্যপাল। সমাবর্তনের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর কেন রাজভবনকে জানানো হয়েছে? তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও পরে রাজ্যপাল জানিয়েছেন ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: মেসের মধ্যেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার যাদবপুরের পড়ুয়া, মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য
আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান রয়েছে। তার আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ইসির বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে সমাবর্তন নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কতজনকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী দেওয়া হবে? এছাড়াও সমাবর্তন নিয়ে একাধিক পরিকল্পনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সমাবর্তন বিষয়ে রাজভবনকে বিশ্ববিদ্যালয় তরফে জানানো হয়। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যপাল। কেন ইসির বৈঠক ডাকার আগে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ বিষয়ে যাদবপুরের উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে গত বছরে একইভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অনুমতি না নেওয়ায় যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যদিও রাজ্যপালের নির্দেশ না মেনেই যাদবপুরে সমাবর্তন হয়েছিল। এবারেও সেই ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এবিষয়ে যাদবপুর বিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বক্তব্য, সমাবর্তনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তাঁরা চাইছেন যেন কোনও জটিলতা তৈরি না হয়। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এ বারও সাম্মানিক ডিলিট বা ডি এসসি দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে শুধুমাত্র শুধুমাত্র ডিগ্রি দেওয়া হবে। আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তন অধিকর্তা অমিতাভ ঘোষ এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, ইসির বৈঠকে সমাবর্তন নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও কোর্টের বৈঠক ডাকতে হয়। এরজন্য রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন।
এদিকে, শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে যাদবপুরের সমাবর্তন নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, সমাবর্তনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলি মেনেই সমাবর্তন করার প্রয়োজন। নিয়ম না মেনে সমাবর্তন করা ঠিক নয়। তাছাড়া কয়েকদিনের মধ্যেই এতগুলি শংসাপত্রে কীভাবে সই করা সম্ভব? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। তবে শেষ তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।