আজ চৈত্র সংক্রান্তি। আজকের দিনে হঠাৎ সকালে বেলুড় মঠে হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরপর কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছেন তিনি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা ছেড়ে একেবারে তীর্থস্থানে চলে এলেন বড়লাট। আর আজ, শুক্রবার তিনি কলস ভরা গঙ্গাজল তুলে দিলেন কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের হাতে। আর মহারাজরাও রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই কাজের জন্য।
কেন এমন ঝটিকা সফর? কেরলের কোচিতে রামকৃষ্ণ মিশন রয়েছে। সেখানে এবার ৭৫ বছর পূর্তি এবং রামকৃষ্ণ মিশন আন্তর্জাতিক আন্দোলনের ১২৫ তম বর্ষ ২০২৩ সালে। তাই সেখানে অনুষ্ঠান হবে। কোচি রামকৃ্ষ্ণ মিশনের মহারাজরা বাংলার রাজ্যপালের কাছে একটা আর্জি জানিয়েছিলেন। মহারাজদের ইচ্ছে ছিল, বেলুড় মঠের গঙ্গা জল দিয়ে ওই অনুষ্ঠানের সূচনা করতে চান তাঁরা। তাই গতকাল, বৃহস্পতিবার কোচি থেকে মহারাজরা বেলুড় মঠে যান। সেখান থেকে সরাসরি তাঁরা যান রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের ইচ্ছার কথা জানান এবং রাজ্যপালকে বেলুড় মঠে আসার আমন্ত্রণ জানান।
তারপর ঠিক কী ঘটল? মহারাজদের আমন্ত্রণ পেয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বেলুড় মঠে পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখানে গঙ্গা জলের কলস প্রথমে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর তারপর কলস তিনি কোচির মহারাজদের হাতে তুলে দেন। কোচির মহারাজরা এই গঙ্গা জলের কলস দিয়েই তাঁদের অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন বলে জানালেন। সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যেই রাজ্যপাল বেলুড় মঠে যাওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহারাজরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ। তিনি নিজে পুজো করতে পছন্দ করেন। সেখানে দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠ থেকে আমন্ত্রণ পেলে তিনি সেখানে যেতে পছন্দ করেন। তবে শুধু বেলুড় মঠ নয়, তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের এক আহত ছাত্রীকেও দেখতে যান। প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে ছিলেন বৃহস্পতিবার। সেখান থেকেই তিনি এই আহত ছাত্রীর খবর পান। আর তারপর বি আর সিং হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। এমনকী ওই ছাত্রীর সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সব দায়িত্ব নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup