হাওড়া পুরবিলে সই না করা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে খোঁচা দিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, উনি কোন উদ্দেশ্যে বিলটি আটকে রেখেছেন বলতে পারব না। ওটা উনিই বলতে পারবেন। আমরা সমস্ত কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলাম রাজভবনে। এই খোঁচায় বিদ্ধ হয়ে সেদিন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি রাজ্যপাল। তবে শনিবার হাওড়া শিবপুরে কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জবাব দিলেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘হাওড়া এবং বালি পুরসভার বিভাজনের বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। আমি গত ২৪ নভেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, এখন পর্যন্ত কোনও জবাব পাইনি। উল্টে আমার বিরোধিতা করা হচ্ছে। যেটা আমার ভালো লাগছে না। প্রয়োজন হলে বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।’
রাজ্যপালের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট এই হাওড়া পুরবিল আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্যপাল দাবি করছেন তিনি নথি পাননি। আবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বলছেন, সমস্ত নথি ও কাগজপত্র রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, আর কোন নথি প্রয়োজন? কেন এমন দাবি করছেন রাজ্যপাল? সেই উত্তর মেলেনি। তবে এই বিল যদি রাষ্ট্রপতির কাছে যায় তা সাক্ষর হয়ে আসতে বিস্তর সময় লেগে যাবে। তাই এই বিল কার্যকর হতে আপাতত বিশ বাঁও জলে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আজ ঝটিকা সফরে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত কার্টুনিস্টের বাড়িতে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। তার সঙ্গেই হাওড়া পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যপাল হাওড়া পুরবিলে (সংশোধনী) সাক্ষর না করায় তা আপাতত হচ্ছে না। এটা নিয়েই রাজ্যপালকে দুষেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। যার প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।