২০১৭ সাল থেকে জিটিএ’র কোনও অডিট হয়নি। এমনকী নির্বাচন পর্যন্ত হয়নি। যা অসাংবিধানিক। পাহাড় থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এই অভিযোগই তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে এই মন্তব্য করে আবার রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পাকালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (জিটিএ) অডিট হয়নি। ক্যাগ–কে দিয়ে অডিট করালেই স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। জিটিএ যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। বছরের পর বছর ধরে পাহাড়বাসীর কোনও উন্নয়ন করেনি জিটিএ।
এদিন আয়–ব্যয়ের হিসাবে হয়নি বলে আমাকে অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, ‘জিটিএ ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। পাহাড়ে এই কয়েক বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। জিটিএ তৈরি হয়েছিল পাহাড়বাসীর উন্নয়নের জন্য, তা সফল হয়নি। না নির্বাচন, না অডিট—কিছুই হয়নি জিটিএতে। তাই সিএজি–কে দিয়ে অডিট করানো উচিত।’
রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে সমর্থম করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এই দাবি যুক্তিপূর্ণ। জিটিএ’র অডিট হওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর উন্নয়নের জন্য টাকা পাঠায়। কিন্তু রাজ্য সরকারের কর্মী, আধিকারিকরা তা নয়ছয় করেন। আর উন্নয়নের কাজ হয় না কিছুই।’ পাল্টা শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষী। কারণ অপ্রাসঙ্গিক ও ভুল তথ্য বলার জন্য দিলীপ ঘোষ প্রসিদ্ধ।’
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার জন্য আওয়াজ তুলেছেন কিছু বিজেপি নেতারা। তার মধ্যেই রাজ্যপালের মন্তব্য বাড়তি ইন্ধন জোগালো বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যান তথা মোর্চা নেতা অনীত থাপার দাবি, ‘প্রতি বছর অডিট হয়েছে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়নের কাজ করেছি আমরা। উনি অডিট করাতে চাইলে করান, আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। সব হিসেব পেয়ে যাবেন।’