রাজভবন থেকে রাজ্যপালের গাড়ি বেরিয়ে সোজা ছুটল হাওড়ার দিকে। তখনও বোঝা যায়নি তিনি ঠিক কোথায় যাচ্ছেন! তবে কিছুক্ষণ পরই সব পরিষ্কার হয়ে যায়। যখন শিবপুরের রাস্তা ধরে ছুটে চলে গাড়িটি তখনই বোঝা যায় তিনি যাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে। তাই গেলেন। আর সেখানে গিয়েই চিকিৎসার খরচ বহনের আশ্বাস দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার সস্ত্রীক রাজ্যপালের এই সফর নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা ভোঁদা’র স্রষ্টার বাড়িতে হঠাৎ কেন গেলেন? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
হাওড়া পুরবিলে সাক্ষর করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাই এবার হাওড়া পুরসভা নির্বাচন করা গেল না। তা নিয়ে হাওড়ার মানুষজন ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভ যাতে আছড়ে না পড়ে তাই এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’, ‘ডানপিটে খাঁদু’, ‘কেমিক্যাল দাদু’র মতো বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের স্রষ্টার চিকিৎসার খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়ে তিনি গোটা বিষয়টি হালকা করতে চাইলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
জানা গিয়েছে, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নারায়ণ দেবনাথ এখন খুব অসুস্থ। তিনি পদ্মশ্রীও পেয়েছেন। শিবপুরের বাড়িতে এখন ঘরবন্দি তিনি। কারণ একা বিছানা থেকে নামতে পারেন না। চলাফেরা রয়েছে প্রচুর সমস্যা। যা নিয়ে শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইটে করেছিলেন। তবে আজ সেখানে যাবেন সেটা উল্লেখ ছিল না।
এদিন নারায়ণ দেবনাথের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই কার্টুনিস্টের চিকিৎসার খরচ আমি বহন করব।’ যার পরেই প্রতিক্রিয়া দিয়ে সিপিআইএম নেতা ডাঃ সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা রাজ্যপালের ক্ষমতার মধ্যে পড়ে না। খবরে থাকার জন্য এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন তিনি।’ তবে সবমিলিয়ে এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে জগদীপ ধনখড়।