তিনি বাংলার রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস। বাংলা পরিক্রমায় বের হবেন বলে তিনি সম্প্রতি জানিয়েছিলেন। বাংলার প্রতি তাঁর আবেগের কথাও উঠে এসেছে বার বার। সূত্রের খবর, দিন কয়েকের মধ্যেই জলপাইগুড়ি সফরে যেতে পারেন রাজ্যপাল। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি জলপাইগুড়ি যেতে পারেন। সেই সফর সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে তাঁর সফর এবার কিছুটা ভিন্ন ধরনের হতে পারে বলে খবর। তিনি এবার যেতে পারেন জলপাইগুড়িতে তাঁর পুরানো কর্মস্থলে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আসলে অভিজ্ঞ মহলের মতে, অত্যন্ত বর্ণময় জীবন রাজ্যপালের। অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি চাকরি করেছিলেন। সেই চাকরিজীবনের সূত্র ধরে তিনি কিছুদিন জলপাইগুড়িতেও ছিলেন। সে প্রায় ৪৬ বছর আগের কথা। সেই সময় তিনি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জলপাইগুড়ির একটি শাখার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। প্রবেশনারি অফিসার হিসাবে ক্লাব রোডে ব্যাঙ্কের শাখায় তিনি কিছুদিনের জন্য দায়িত্ব সামলেছিলেন। আর সেই কর্মস্থলই ঘুরে দেখতে চান রাজ্যপাল। আসলে উত্তরবঙ্গের এই শান্ত শহরের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নাম। সেই স্মৃতিই এখন হাতড়াচ্ছে সুন্দরী শহর জলপাইগুড়ি।
তবে সূত্রের খবর, সেই ১৯৭৭ সালে ব্যাঙ্কটি তখন যে ভবনে ছিল সেটি লাল ভবন নামে পরিচিত। সেই ভবনটি আজও রয়েছে। তবে ব্য়াঙ্কটি অন্য ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। শান্ত শহরের সেই ভবনটি ঘুরে দেখতে পারেন রাজ্যপাল। তবে সবথেকে বড় কথা রাজ্যপাল যে সময়ে জলপাইগুড়ির ওই ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন সেই সময় তাঁর সহকর্মী কারা ছিলেন? তাঁদের কেউ কি আজও জলপাইগুড়িতে থাকেন? তেমন কাউকে কি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করানো যায়? মনে পড়বে সেই পুরানো স্মৃতি? সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে পুরোদমে। তবে সূত্রের খবর, অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য় রাজ্যপাল থাকতে পারেন তাঁর পুরানো কর্মস্থলে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য় যাবতীয় প্রস্তুতিও চলছে।
জলপাইগুড়ির প্রবীন মানুষরাও সেই পুরানো স্মৃতি হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। বাংলার রাজ্যপালকে ঘিরে অন্য়রকম আবেগে ভাসছে শহর জলপাইগুড়ি। সম্প্রতি বাংলায় হাতেখড়িও দিয়েছেন তিনি। বাংলার প্রতি, বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তিনি বার বার উল্লেখ করেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন,বাংলার আমার সেকেন্ড হোম। এবার জলপাইগুড়িতে এসে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।