কার আর একার জীবন ভালো লাগে? সেটা যদি বিদেশ বিভূঁইতে হয় তবে আরও সমস্যার। তেমনটাই হয়েছে জেভিয়ারের। জেভিয়ার আর কেউ নয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু।সেটা আপাতত রয়েছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। কিন্তু একলা থাকতে থাকতে কি মন খারাপ জেভিয়ারের? কীভাবে এই জেভিয়ার এখানে এসেছিল?
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মধ্যপ্রদেশের চিড়িয়াখানা থেকে তিনটি ক্যাঙ্গারু পাচার করা হচ্ছিল। সেই সময় বেলাকোবা এলাকা থেকে বনদফতর তিনটি ক্যাঙ্গারুকে উদ্ধার করে। কিন্তু ঘটনাস্থলে একটি ক্যাঙ্গারুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর দ্রুত দুটি ক্যাঙ্গারুকে শিলিগুড়িতে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাদের রাখা হয়। পরে পর্যটকরাও তাদের দেখা পেতেন। একটির নাম ছিল জেভিয়ার ও অপরটির নাম অ্য়ালেক্সা। একেবারে বিদেশি নাম তাদের। পর্যটকদের কাছে বড্ড প্রিয় ছিল ওরা। কিন্তু কিছুদিন পরেই মৃত্যু হয় অ্য়ালেক্সার।
এরপর একেবারে একলা হয়ে পড়ে জেভিয়ার। হয়তো কিছুটা মন মরাও। তবে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে, পরিবেশের সঙ্গে কিছুটা খাপ খাইয়ে নিয়েছে জেভিয়ার। তার মধ্য়ে শারীরিক অসুস্থতার কোনও ছাপ দেখা যায় নি। প্রাথমিকভাবে তার যে অসুস্থতা হয়েছিল তা ভালো হয়ে যায়। কিন্তু প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকদিন ধরে একলা থাকলে হয়তো জেভিয়ারের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য জেভিয়ারের সঙ্গী খোঁজার চেষ্টা চলছে।
তবে ক্যাঙ্গারুর সঙ্গী পাওয়া কি মুখের কথা! তবে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না পার্ক কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে জেভিয়ারের স্বাস্থ্যের প্রতি সবসময় খেয়াল রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেভিয়ারকে সুস্থ রাখাটা কর্তৃপক্ষের কাছে এখন বড় চ্য়ালেঞ্জ। তবে তার একজন বন্ধুর খুব দরকার। না হলে সেটা আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এদিকে অ্য়ালেক্সার মৃত্যুর পরে তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেকারণেই জেভিয়ারকে সুস্থ রাখতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। মূলত বিদেশি প্রাণীদের দেখাশোনার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি রয়েছে তা সবই মেনে চলা হয়।