এবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত গাড়িতে বসানো হল জিপিএস। গাড়ির কারচুপি কমাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিল পুরসভা। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুর প্রশাসক গৌতম দেব।
পুরনিগম সূত্রে খবর, পুরনিগমের কাজে ব্যবহৃত ৮০টি গাড়িতে বসানো হল জিপিএস সিস্টেম। এর ফলে পুরনিগমের ওই সব গাড়ি কোথায়, কী কাজ করছে, তার উপর নজরদারি চালানো যাবে। বিশেষ এই ব্যবস্থার ফলে কমানো যাবে অর্থের অপচয়ও। মঙ্গলবার জিপিএস সিস্টেমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের পুর প্রশাসক গৌতম দেব। এই জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার নিয়ে শিলিগুড়ির পুর পুর প্রশাসক জানান, ‘দায়িত্ব নিয়েই এটা করার চেষ্টা করেছিলাম। কলকাতার একটি কোম্পানি এই কাজ করেছে। এখন ৮০টি গাড়িতে জিপিএস লাগানো হয়েছে। আরও ২০টি গাড়ির জন্য জায়গা আছে। বাকি গাড়িগুলির ব্যবস্থা করা হবে। ওই গাড়িগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করবে এই সংস্থা।’ পাশাপাশি পুরনিগমের যে সাফাই কর্মীরা আছেন, তাঁদের ১০০ শতাংশ বিমার ব্যবস্থা করার কথাও জানান পুর প্রশাসক। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ‘এই সব সাফাই কর্মীদের বর্ষাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বছরে যাতে দুবার তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে।’
একইসঙ্গে শিলিগুড়ির মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান পুর প্রশাসক। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আগে মুক্ত শৌচাগার এলাকা ছিল না শিলিগুড়ি। সেটা আমরা ৩০ জুনের মধ্যে করতে পেরেছি। বাংলার আবাস যোজনা বন্ধ হয়েছিল। সেটা চালু হয়ে যাবে। খুব তাড়াতাড়ি ৪০০ বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে হিলকার্ট রোড, সেবক রোডের সমান্তরাল রাস্তা তৈরির জন্য রাইসকে দিয়ে সার্ভে করানোর কাজ চলছে। শহরে জলের ব্যবস্থা যাতে ঠিকভাবে করা যায় সেজন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে একটি পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।’ পাশাপাশি পুর প্রশাসক জানান, শহরের আশেপাশে যাতায়াত ব্যবস্থার যাতে আরও উন্নতি করা যায়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাস রুট বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।