মায়ের মৃত্যুর পর দাদুর কাছে থাকত ২ বোন। সেই দাদুর বিরুদ্ধেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক নাতনিকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন - মত্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকে প্রতিবেশীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, খাস কলকাতায় গ্রেফতার সিভিক
পড়তে থাকুন - আরজি কর হাসপাতালে এবার নার্সিং ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, তুলকালাম কাণ্ড ঘটল
ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকার চাঁদা গ্রামে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে নাবালিকার মায়ের মৃত্যু হয়। এর পর সে ও তার বোনকে দাদুর কাছে পাঠিয়ে দেন বাবা। এর পর থেকে দাদুর কাছেই থাকত ১৪ বছরের কিশোরী ও তাঁর বোন। অভিযোগ, কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন অভিযুক্ত দাদু। এমনকী সেকথা কাউকে জানালে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দিতেন তিনি। যার জেরে ঘটনার কথা কাউকে বলেনি নাতনি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রবিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নাবালিকা। স্থানীয় মহিলারা তাঁর কাছে গেলে কিশোরী ঘটনার কথা জানান। এর পরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। থানায় গিয়ে দাদুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে কিশোরী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন - নানুরের চণ্ডীদাস কলেজে চটুল নাচ ছাত্রছাত্রীদের, উড়ছে টাকা, নবীনবরণ ঘিরে বিতর্ক
নির্যাতিতাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা করে তাকে বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছে। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। তবে দাদুর কারাবাস হলে নাতনিদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা।