বিধানসভা উপ নির্বাচন মিটলেই তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল অবধারিত বলে জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েক সুপারিশে বেশ কয়েকটি জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি বদল করতে চলেছেন বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর। তৃণমূলের এই আসন্ন রদবদলকে চরম কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, এটাকে রদবদল বলা ঠিক নয়। রোটেশন পদ্ধতিতে করে খাওয়ার ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন - কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীর বিসর্জনের আগেই দাউ দাউ করে আগুন ক্লাবে, মৃত ১
পড়তে থাকুন - উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং, ডাকার পরেও এলেন না ১৪৪জন, চাকরি নিতেও অনীহা!
সোমবার নিজের শহর বালুরঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তবাবু বলেন, ‘তৃণমূল রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কারণে রদবদল করে না। তাদের প্রচুর লোককে উপরে টাকা পাঠাতে হয়। তাছাড়া ওদের দলনেত্রীই তো বলে দিয়েছেন উপরে পাঠিয়ে তবেই নিজেরা যেন খায়। তাই সবাইকে ভাগ করে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে কাউকে ছয় মাস বা এক বছর রোটেশন পদ্ধতি নিচ্ছে তৃণমূল।’
আরও পড়ুন - ভাসান দেখে ফেরার সময় মারধরে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার ৩, অধরা মূল অভিযুক্ত
বলে রাখি, বিজেপিতেও সাংগঠনিক রদবদল আসন্ন। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছেন। দলের সংবিধান অনুসারে একই ব্যক্তি ২ পদে থাকতে পারেন না। তেমনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছের রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। ফলে তাঁকেও নিয়ম মেনে সরতে হবে। কিন্তু এখনও বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য সভাপতি বদলের ঝুঁকি বিজেপি নেবে কি না তা লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসাবে একাধিক নাম ঘুরছে দলের অন্দরেই। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নাম। তাছাড়া RSSএর মুখপাত্র জিষ্ণু বসুর নামও রয়েছে এই তালিকায়।