বিজেপি নেতাদের বিদ্রোহের আবহের মধ্যেই ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিক্ষোভ অবরোধ তো বটেই, দ্বন্দ্ব গড়ালো হাতাহাতিতে। করিমপুরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি তৎপর হয়েছে পি কে টিম। জানা যাচ্ছে, দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে এনিয়ে পিকে টিমের সদস্যরা কথা বলবেন।
মহুয়া মৈত্র এবং বিমলেন্দু সিংহের গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল দুই গোষ্ঠী। গত ৯ ডিসেম্বর নদিয়া জেলা সফরে এসে প্রশাসনিক বৈঠক মঞ্চ থেকে মহুয়া মৈত্রের নাম করে এনিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার করিমপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে। সেখানে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ। কিন্তু, করিমপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতিরা সেখানে আমন্ত্রণ পাননি। রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের নদিয়া উত্তরের জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা। অভিযোগ উঠেছে, অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান মহুয়া ঘনিষ্ঠ তৃণমূল সভাপতিদের সর্মথকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী।
বিমলেন্দু ঘনিষ্ঠরা অভিযোগ করেছেন, মহুয়া ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি তরুণ সাহার গোষ্ঠীর লোকেরা এদিন জয়ন্ত সাহার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেছিলেন। তারাই হামলা চালিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি, পি কে টিম তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন।
অন্যদিকে, জয়ন্ত সাহা এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, 'বিজেপির কিছু লোকজনই সেখানে ঝামেলা তৈরি চেষ্টা করেছিল। এ বিষয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।'
যদিও জয়ন্ত সাহার এই দাবি মানতে নারাজ নদিয়া উত্তরের বিজেপি জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, 'সারা রাজ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। তৃণমূল কর্মীরা একে অপরের হাতে খুন হচ্ছেন। করিমপুরের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও অস্বাভাবিক কিছু নয়।'