মালদহে চিড় ধরল পদ্ম শিবিরে। প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিল বিজেপির একাংশ। দলেরই সদস্যদের অনাস্থার জেরে অপসারিত হতে হল বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে! এমনকী, অপসারিত হতে হয়েছে উপপ্রধান কেও। অবশ্য বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের ভয় ছাড়াও প্রলোভনই এই ঘটনার মূল কারণ। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ বিজেপি। অবশ্য বিজেপির এই তত্ব অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, মানুষের উন্নয়নের স্বার্থেই সবাই ঘাসফুলের যোগ দেবেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের গৌড়খণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গৌড়খণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন বিজেপি চার পঞ্চায়েত সদস্য। সেই অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে, শুধু পঞ্চায়েত প্রধানই নয়, অপসারিত হয়েছেন গৌড়খণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও।দলের ওই চার সদস্যের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান পুষ্পা ওঁরাও।
কিন্তু কেন এইরকম ঘটনা ঘটল?
এ প্রসঙ্গে মালদহ জেলার বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সুমিত সরকারের দাবি, গৌড়খন্ড পঞ্চায়েতের ওই চার সদস্যকে ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবশ্য চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি রফিকুল হোসেনের পাল্টা দাবি, গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই ওই চার বিজেপি সদস্য পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। রফিকুলের আরও দাবি, রাজ্যের উন্নয়নে শামিল হওয়ার জন্য তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত , ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে মালদহের চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের গৌড়খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন জিতেছিল তৃণমূল, কংগ্রেস পেয়েছিল দু'টি আসন ও বামেরা পায় একটি আসন। নটি আসনে ভোটে জিতে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির পুষ্পা ওঁরাও। তবে বিজেপি এই শক্ত ঘাঁটিতে সুরঙ্গ হয়ে ভাঙ্গন ধরেছে।