নভেম্বর মাস শেষ হতে আর পাঁচদিন বাকি। তারপরই পাহাড় থেকে কল্লোলিনী কলকাতায় ফিরবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত তাঁর উপস্থিতি রয়েছে। আর তাতে কখনও অস্বস্তি, কখনও সংঘাত লেগে রয়েছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন–এর অডিট নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সস্ত্রীক কালিম্পংয়ের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘জিটিএ–সহ সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের অডিট হওয়া দরকার। সরকারি টাকা নয়ছয় করলে শাস্তি হবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন।’ রাজ্যপালের এই মন্তব্য বাংলার সরকারের উদ্দেশ্যে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। কারণ নিজের বক্তব্যের ভিডিও টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগও করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ২০১৭ সালে। তারপর সেই পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী হাতে তুলে দেন বিনয় তামাংয়ের। আর গা ঢাকা দেয় বিমল গুরুং। যদিও এখন তিনি আবার ফিরে এসেছেন স্বমহিমায়। জিটিএ এখন আধা স্বায়ত্তশাসিত এলাকা। তবু এখনও আলাদা রাজ্যের দাবি শোনা যায়। রাজ্যপাল এখন দার্জিলিংয়ের রাজভবনে আছেন। কালিম্পংয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে স্টেশনে তো বিমান ধরা যায় না। সমস্ত সমস্যার সমাধান আছে। রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার অথবা সংসদে সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
কয়েকদিন আগে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, আমলা ও পুলিশ দুর্নীতি রুখতে পারছে না। দুর্নীতির ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস না করলে গণতন্ত্র বাঁচবে না। দুর্নীতিকে মূল থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। দুর্নীতির আঁতুরঘর ভেঙে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। তবে এদিন তিনি বলেন, ‘সমস্ত সরকারি সম্পত্তির অডিট হওয়া দরকার। অডিটে যদি দুর্নীতি ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই শাস্তি হবে।’