আরও বড় আকার নিল তৃণমূল কংগ্রেস। যে উত্তরবঙ্গে চাপে পড়ে গিয়েছিল, সেখানকার জিটিএ-এর কর্মী সংগঠন ইউনাইটেড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন মিশে গেল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে। সুতরাং বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার তৃণমূলের সাংসদ শান্তা ছেত্রী এবং দার্জিলিং বিধানসভায় দলের আহ্বায়ক এনবি খাওয়াসের উপস্থিতিতে কর্মী সংগঠনটি তৃণমূলের অনুমোদিত সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। দার্জিলিং জিডিএনএস হলঘরে সংগঠনের কয়েক হাজার কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁরা জিটিএ-এর অস্থায়ী কর্মী।
পাহাড়ে যখন বিমল–বিনয় পৃথক লাইন তৈরি হয়েছে তখন এই ঘটনা খানিকটা বার্তা দিল বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ কয়েকদিন আগে বিমলের আত্মপ্রকাশের পর বিজেপি পরিচালিত পুরসভা থেকে ১৭ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেটার নায়ক ছিলেন বিমল গুরুং। এবার এই কর্মী সংগঠন তৃণমূলে মিশিয়ে দিয়ে বিনয় তামাং পালটা বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীকরণ–সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যালয়ে উপস্থিতি হয়েও কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সেই কর্মবিরতি উঠে যায়। এই প্রথম পাহাড়ের সরকারি কর্মীদের কোনও সংগঠন রাজ্যের শাসকদলে নাম লেখাল। ইউইএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুভাষ ছেত্রী বলেন, ‘রাজ্য সরকারই তো আমাদের স্থায়ী করতে পারে। তাই মাঝে আর লালকুঠি কেন? তাই জুড়ে গেলাম।’
সংগঠন সূত্রে খবর, কালিম্পঙেও একইভাবে যোগদান হয়েছে। মঙ্গলবার জিটিএ-এর অস্থায়ী কর্মীরা মিরিকেও তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তবে এই নিয়ে অবশ্য বিনয় তামাং অথবা অনীত থাপারা মুখ খোলেননি।