জিটিএ নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএ নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে অনশনও করেছিলেন বিমল গুরুং। এরপর অসুস্থ হয়ে তিনি সিকিমের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে জিটিএ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রার্থী দিয়েছে মোর্চা।
তাঁদের যুক্তি বিরোধীরা যাতে ওয়াকওভার পেতে না পারে সেকারণে এই উদ্যোগ। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসলে শেষ মুহূর্তে বড় চাল দিল মোর্চা। পাশাপাশি মমতার অনড় মনোভাবের সামনে পাহাড় রাজনীতিতে ভেসে থাকারও আপ্রাণ চেষ্টা বিমলের। প্রসঙ্গত আগামী ২৬জুন জিটিএ নির্বাচন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নানা ঘটনাক্রমে বর্তমানে পাহাড়ে মোর্চার পায়ের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। নির্বাচন স্থগিত হবে না এটা বুঝেই এবার ঘুরপথে সেই নির্বাচনী লড়াইতে নামতে বাধ্য হলেন বিমল। সেক্ষেত্রে মোর্চা নাম দিয়ে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ভরাডুবি হলে বিপদ আরও বাড়বে। অন্যদিকে নির্দল হিসাবে দাঁড় করালে বিক্ষুব্ধরাও সমর্থন করতে পারে। এসব বুঝেই হিসাব করেই জিটিএ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করালো মোর্চা।
জিটিএতে মোট ৪৫টি আসন রয়েছে। সবকটি আসনেই মোর্চা প্রভাবিত নির্দল হিসাবে প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছেন।এদিকে মোর্চার এই উদ্যোগকে তীব্র কটাক্ষ করেছে অন্য়ান্য একাধিক রাজনৈতিক দল। ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দাবি, এতদিন তো বলছিল ওরা জিটিএ নির্বাচনই চাইছেন না। তারপরেও কেন প্রার্থী দিল?
এদিকে পাহাড়ে বর্তমানে পুরসভার ক্ষমতায় রয়েছে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। মোর্চার এই ভূমিকায় হতবাক তাঁরাও। জিটিএ যে সমাধানের পথ নয় আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে বিজেপি।