করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের উদ্দেশে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত দার্জিলিঙে পর্যটকদের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
বুধবার জিটিএ-র তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, Covid-19 সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও পর্যটককেই ৩১ জুলাই পর্যন্ত দার্জিলিং ও কালিম্পং শহরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে মাত্র আট দিন আগে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় দার্জিলিং শহর ও সংলগ্ন অঞ্চল। এই মুহূর্তে পর্যটক সমাগম না হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের পাহাড়ে পর্যটনের রমরমা বাড়বে বলে আশায় বুক বাঁধেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ দিনের ঘোষণায় সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছে জিটিএ। সেই সঙ্গে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, নেহাত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পাহাড়ের মানুষের শিলিগুড়ি যাওয়ার বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছে জিটিএ।
এ দিন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা মাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় আমি গভীর উদ্বিগ্ন। ৯ জুলাই থেকে রাজ্যের সমস্ত কন্টেনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন আরোপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আপনারা সকলেই জানেন যে পাহাড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা শিলিগুড়ির তুলনায় বেশ কম। কিন্তু তাই বলে আমরা খুব নিরাপদে নেই।’
শুধু তাই নয়, শিমুলবাড়ি ও চিত্রেতেও স্থানীয় বাসিন্দা এবং জিটিএ-র আওতার বাইরে থাকা এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের কড়া স্ক্রিনিং করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান।
পাশাপাশি, দীর্ঘ লকডাউনে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকেন, সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন অনীত থাপা। তিনি জানিয়েছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি জিটিএ, প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মী ও আশা কর্মীদের পাশে আছি।’