গত পুরসভা ভোটে পাহাড়ে একেবারে উল্কাগতিতে উত্থান হয়েছিল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির। আর এবার জিটিএ ভোটে পাহাড়ে দেখল আর এক নয়া শক্তির উত্থান। তিনি অনীত থাপা। পাহাড়ে দল গড়েছেন বেশিদিন হয়নি। সেই অনীত থাপার দলই এবার বাজিমাত করে দিল। এদিন অনীত থাপাকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুল, মিষ্টি, উপহার পাঠান।
জিটিএ নির্বাচনের ফলাফলে অনুসারে অনীত থাপার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পেয়েছে ২৭টি আসন। তৃণমূলও খাতা খুলেছে পাহাড়ে। তৃণমূলের দখলে ৫টি আসন। বামেরা একটি আসনও পায়নি। অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো পার্টি জিতেছে ৮টি আসনে। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন ৫টি আসনে।
জিটিএর ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৭টিতেই জয় হাসিল করল অনীত থাপার দল। বরাবর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ যথেষ্ট নিবিড়। ভোটের ফলাফল বের হতেই অনীত জানিয়ে দেন, এটা বড় চ্য়ালেঞ্জ। পাহাড়ের উন্নয়ন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় যাব। দেখা করব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
অন্য়দিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য পাহাড়ের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাহাড়ে অনেক অশান্তি হয়েছে।এখন পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে।এত শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। অনীতের সঙ্গে আমাদের জোট হয়েছিল। মাত্র আটটি আসনে বিরোধীরা জিতেছেন। আমাদের জোট বাকিগুলোতে জিতেছে।
ভোটের দিনই অনীত থাপা জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত করে কী হবে? তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা যে জোরালো তা বার বারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অনীত। এবার তাঁর জয় পাহাড়ে বাড়তি সুবিধা দেবে ঘাসফুলকে, তা বলাই বাহুল্য।